পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। ধৰ্ম্মের জীবন, নিয়ত বহিবে, বান-প্রভঞ্জনে, নাহিক ভয়, মধুর আবেশে, হাসাবে হাসিবে, গাইবে সতত, তোমারি জয় । নারায়ণ' বলিলেন “বৎস! তোমার কবিতা শ্রবণে, এক সময়েই, আমার মনে হর্ষ ও বিষাদের সঞ্চার হইয়াছে। কবিতাটি অতি সুন্দর, এজন্য হর্ষ, আর, এমন রমণীয় স্থানেরও আভ্যস্তরিক ভাব, নিতান্ত মৰ্ম্মভেদী, এজন্য বিষাদ । হায় ! এখানেও ভক্তি নাই ! পরমেশে প্রীতি ও স্বধৰ্ম্মে বিশ্বাস নাই ! এখানেও ব্যভিচার, মিথ্যা, প্রবঞ্চনা, কপটতা ও কুটিলতা ! এখানেও, স্বার্থ-পরত, পশুপীড়ন ও ধৰ্ম্মহীনতা ! হায় ! ধৰ্ম্ম যে ইহকাল ও পরকালের সহায় এবং ধৰ্ম্মই যে যশোরাশি অক্ষুন্ন রাখে, আদেী, কাহারও এই জ্ঞান নাই ! কলিকাতার গৌরব অক্ষ রাখিতে হইলে কলিকাতাবাসীর ধৰ্ম্মবলে বলীয়ান হওয়া আবশ্বক। বাস্তবিক, কলিকাতার অধিবাসিগণ ধাৰ্ম্মিক হইলে, ইন্দ্রপুরীর ন্যায় সৌন্দৰ্য্যশালিনী নগরীর শোভা,চিরকাল অক্ষুন্না থাকিবে ।” দেবর্ষি বলিলেন, “প্রভু, গণপতি যথার্থ কথাই বলিয়াছেন, “ধৰ্ম্মহীন লোকের বিদ্যা-বুদ্ধি কেবল “ছলনা” মাত্র, আর, ভক্তি, প্রীতি ও সরলতা ভিন্ন, লোকের বাহ শোভা শোভাই নহে ।” নারায়ণ বলিলেন, “বৎস, কথাগুলি সত্যই বটে ; বাস্তবিক, ব্ৰহ্ম-বিদ্যা ভিন্ন বিদ্যা, বিছাই নহে ; যে জ্ঞানে, হরিভক্তি

  • >>