8૨ দেবগণের মৰ্ত্ত্যে আগমন ব্ৰহ্মা। বরুণ ! ও তালগাছ কাহাদের ? ' বরুণ। মথুরার শেঠেদের। ইহাদের বিস্তর ঐশ্বৰ্য্য। মথুরা বুজিবত্মের পাশ্বে যে প্রকাও ইন্দ্ৰালয়তুল্য বাড়ী দেখিলেন, উহা ঐ শেঠেদের । এই শেঠেদের ইচ্ছা আছে, নিজ ব্যয়ে মথুরা হইতে বৃন্দাব পৰ্য্যন্ত রেল করিয়া দেন । বৃন্দাবন দেবতার বৃন্দাবনে উপস্থিত হইয়া গোবিন্দজার মন্দিরের সন্নিকটস্থ চৈতন্তদাস বাবাজীর কুঞ্জে বাসা লইলেন। চৈতন্তদাস বাবাজীর বয়স ৭•৭৫ হইবে, তাহার আজামুলম্বিত শ্মশ্র শণের ন্যায় ধপূপে সাদা বাবাজী প্রায়ই ৬০৭০ জন সেবাদাসী লইয়া বিরাজ করেন । দেবগণ র্তাহার সহিত আলাপ করিয়া বিশেষ অসন্তুষ্ট হইলেন। কারণ, সে বৈষ্ণব অথচ ভাগবতের কোন বিষয়ই জানে না ; কথাবার্তা এত খারাপ যে, শুনিলেই বোধ হয় এ ব্যক্তি ইতর-জাতীয় দস্থা ছিল, রাজদণ্ডভয়ে বৃন্দাবনে আসিয়া ভেক লইয়া ছদ্মবেশে আছে । দেবরাজ কহিলেন “বাবাজার চৈতন্যদেবের কথা কিছু জানা আছে?” “জানি বই কি” বলিয়া বাবাজী কহিল, “চৈতন্তদেব শচী মায়ের ব্যাট । তিনি যখন সন্ন্যাসী হয়ে লবরদ্বীপ হতে পেলয়ে আসেন, চাকদার ঘাটে একজন মালোর কাছ হ’তে চাটি মচ্চ চেয়েছিলেন, কিন্তু সে তা দেয় নি, সেই পাপে যখন আত্তিরে বেঁউতি জাল পাততে যায়, কুমীরে ধ’রে খেয়েলো।” দেবগণ ইহার পর নগর ভ্রমণে বাহির হইলেন এবং কহিলেন “বরুণ ! ও চুড়াবিহীন মন্দিরটা কাহার ?” বরুণ। গোবিন্দজীর পুরাতন মন্দির। ইহা নগরের মধ্যে সকল মন্দির অপেক্ষ উচ্চ। দিল্লী হইতে ইহার চূড়া দেখা যাইত বলিয়া সম্রাট আওরঙ্গজেব ভাঙ্গিয় দেন এক্ষণে বিগ্রহ ওদিকের ঐ নুতন মন্দিরে আছেন।