&b- দেবগণের মর্ত্যে আগমন "হরি বল গার্টুর তোল বলিয়া যখন দেবগণ নিজ নিজ পোটল পুটলি লইয়া যাত্রা করেন, নারায়ণ আর উঠেন না। তখন ইন্দ্র কছিলেন “নারায়ণ ! ভাই উঠ, চল আমরা কলিকাতায় গমন করি। তুমি অমন বিমৰ্ষভাবে ব’স্লে কেন ? বরুণ তোমার সম্বন্ধে অনেক কথা বলায় কি অভিমান করেছে ?” বরুণ । বিষ্ণু! তুমি কি আমার উপর রাগ ক’লে ? নারা । দেবরাজ। আর আমি স্বর্গে যাইব না। ইন্দ্র। কেন ! কেন ! নারায়ণ, স্বর্গে যাইবে না কেন ? নারা। কি সুখে আর যাইব ভাই ! আমি দেখচি স্বর্গে আর কোন মুখই নাই। প্রথমতঃ পেটের ভাবনা ভেবেই অস্থির। দিচ সমস্ত দিন খেটে খুটে মাথায় মোট ক’রে দু-এক পয়সা এনে দিই, তাতেও নিস্তার নাই,—মাগীগুলো সমস্ত দিনই পরস্পরে বিবাদ বিসংবাদ মারামারি চেঁচাচেচি করেই কাটাচ্চে ; বলতে কি, আমার বাড়ী যেন অমরাবতীর হাট । এর উপর পারিজাত চাই, এ চাই, ও চাই ফরমাস ক’রে বন্ধুবিচ্ছেদ ও গৃহবিচ্ছেদ ঘটাবারও বিধিমত প্রকারে চেষ্টা পায়। অতএব সেই সব দুঃখ হ’তে এড়াতে আমি প্রতিজ্ঞা ক’রেছি—ভেকধারী বৈষ্ণব হব । ব্ৰহ্মা। দেখ ভাই ! দেবই হউক বা গন্ধৰ্ব্বই হউক, আর নরই হউক বা কিন্নরই হউক, বহু-বিবাহ দোষের আকর। বহু-স্ত্রীর যে ব্যক্তি পাণিগ্রহণ করে, তার স্বৰ্গ মৰ্ত্ত্য পাতাল কোন স্থানেই সুখ নাই । অতএব তুমি বহু-বিবাহ ক’রে নিজের মুখ নিজে নষ্ট করেছ, এক্ষণে সে জন্ত পরিতাপ করা অন্যায়। তুমি নিজের কুকৰ্ম্মের জন্ত পরিতাপ কর এবং বিবাহিত পত্নীগণকে মুখী করিবার চেষ্ট পাও, নচেৎ ইহকাল পরকালে অধৰ্ম্ম হবে। ইন্দ্র । নারায়ণ! তোমার দুঃখ আর কদিন ?—লক্ষ্মী শুনেছি যথাসৰ্ব্বস্ব তোমাকে উইল ক’রে দেবেন। নারা । তার আর আছে- কি ? লোকে বলে তিনি সপত্নীগণের