ԳԵ- দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। ইহা বীর বিজয়সিংহ নামক রাজার রাজবাটা। এ স্থানের নাম জয়গঞ্জ | ' ক্রমে সকলে যাইয়া আজিমাবাদের বাজারে উপস্থিত হইলেন । অসংখ্য উত্তম উত্তম খাদ্যদ্রব্যের দোকান দেখিয়া দেবতাদের মুখে লাল পড়িতে লাগিল। পিতামহ ব্ৰহ্মা সকলের অগ্রে “ক্ষুধা পেয়েছে” বলিয়া ধুয়া ধরিলেন। দেবগণ গাড়োয়ানদিগকে বিদায় দিয়া একটা দোকানে গিয়া, বসিলেন। পশ্চিমে স্বভাবতঃ অত্যন্ত শীত ; সে দিন আরো শীত বোধ হওয়ায় তাহারা আর স্নান করিঙ্গুে না, কাপড় ছাড়িয়া সন্ধ্য আহ্নিক সারিলেন এবং জলযোগে বসিয়া গেলেন। যথা সময়ে আহারাদি সমাপ্ত তইলে সকলে যাইয়া কেশববাগের সন্নিকটে উপস্থিত হইলেন । নারা । বরুণ ! একটা গ্রামকে গ্রাম এই যে অট্টালিকাশ্রেণী দেখা যাচ্চে, ইহা কি ? বরুণ । ইহার নাম কেশববাগ । ইহার মধ্যে নবাব ওয়াজাদ আলি -শার বাহান্নোটী অনরে মহল আছে, ইহাতে র্তাঙ্গর বেগমের বাস করিত । ইন্দ্র । এত বেগম । বরুণ। “নবাৰ কলিযুগের মুসলমান কৃষ্ণ ছিলেন । তিনি আমাদের দেশী কৃষ্ণের উপাখ্যান শুনিয়া ঠিক সেই মত কাজ করিতেন। কেশববাগের মধ্যে কুঞ্জবন, নিকুঞ্জবন, বস্ত্রহরণ-বৃক্ষ ইত্যাদি সকলই আছে।” এই বলিয়া সকলে পশ্চিম দিকের গেট দিয়া প্রবেশ করিলেন। - ব্রহ্ম। যে নবাব এরূপ ইঞ্জিয়পরায়ণ, তাহার রাজকাৰ্য চলতে কিরূপে ? বরুণ। পাঁচ জনে গোলে হরিবোল দিয়ে ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ কিরিত। নবাবের শ্বশুর ইহাদের মধ্যে সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব ছিল। ঐ দুরাত্মা নিজে সিংহাসনে বসিবার অভিপ্রান্ধে নবাবের চরিত্র সম্বন্ধে গবর্ণরকে পত্র লেখে। তখন লর্ড ডেলহাউলি গবৰ্ণর ছিলেন। তিনি পত্রপাঠ লক্ষেী