কাশী > రి ఏ খেম্ট নাচ্চে, দেখে ত বোধ হয় না যে, কস্মিন কালেও লজ্জা সরম छ् ि। বরুণ। আজ্ঞে, ঐ স্ত্রীলোক বাঙ্গালী বটে, কিন্তু এক্ষণে বেশুস্বভাব প্রাপ্ত হওয়ায় লজ্জা সরম সকলেরই মাথা খেয়েছে । নচেৎ এক দিন উহার লজ্জ সরম ধৰ্ম্মভয় সকলই ছিল । উহার ভাগুরই উহার এ দশ ক’রেছে। ইন্দ্র ৷ ভাগুর ! বরুণ । হ্যা । যুবতী অল্প বয়সে বিধবা হয়ে ভাশুরের যত্নে শ্বশুরালয়ে বাস করিতে থাকে। উহার ভাগুর অত্যন্ত দুশ্চরিত্র ছিল। দুরাত্মার প্রৌঢ়াবস্থায় পরিবার গত হয়। বিষয় আশয় নিতান্ত মন্দ ছিল না। পরিশেষে পাপাত্মার ভাদ্রবধূর উপর নজর পড়ে ও উভয়ে পাপ-পঙ্কে নিমগ্ন হয়। এই কথা ক্রমে ক্রমে গ্রামমধ্যে রাষ্ট্র হইল এবং জ্ঞাতিরা অত্যন্ত উপদ্রব আরম্ভ করিল। তখন উহারা দুইজনে পরামর্শ করে যে, আমরা যে পাপে লিপ্ত হইয়াছি ইহার প্রায়শ্চিত্ত নাই, এক উপায় আছে, কাশী গিয়া বাস করা । কারণ শিবের প্রতিজ্ঞ আছে, যে কোন পাপী কাশীতে বাস করিয়া ঐ স্থানে প্রাণত্যাগ করিবে, তাহার আর শমনভয় থাকিবে না । এইরূপ পরামর্শ স্থির হইলে উহারা বিষয় আশয় বিক্রয় করিয়া এই প্তানে আসিয়া বাস করিতেছে । ব্ৰহ্ম । ছি ! ছি! ভাগুর ভাদ্রবেী ! কাশি ! তুমি ধ্বংস হও — পুথিবি ! তুমি রসাতলে প্রস্থান কর, আর কেন ?—পুত্রবধুর সদৃশ ভ্রাতৃবধু হরণ ! আহো! শ্রবণে মহাপাপ ! এই সময় যুবতী আর একটী গান ধরিল— “সুবাদে কি বাধে লো সই যারে চাহে মন । কি করে গুরুগঞ্জন মজিলে নয়ন ॥ তুলনা কি দিব অন্তে, ব্ৰহ্মা হরে নিজ কন্তে, এমন মদন জন্তে শরীর করে জালাতন ।”