পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলাহাবাদ ND) এই সময়ে ট্রেণ ধীরে ধীরে ষ্টেশনের মধ্যে প্রবেশ করিল । মাত্রিগণ মনের হরিষে উচ্চরকে ঘন ঘন হরিধ্বনি করিতে লাগিল । নারা ; বরুণ ? এত ষ্টেশন পার হয়ে এলাম—কোথাও ত এমন চরিধ্বনি শুনি নাই। এলাহাবাদে এত হরিনামের ধূম কেন ? বরুণ | প্রয়াগের মাঘ-মেলা উপস্থিত, এজন্ত যে সমস্ত যাত্রী তীর্থ দর্শন অভিপ্রায়ে আসিয়াছে, তাহারা অভিলষিত স্থানে ট্রেণ উপস্থিত হইয়াছে দেখিয়া মনের আনন্দে উচ্চৈঃস্বরে হরিধ্বনি করিতেছে । এই কথা শ্রবণে দেবগণেরও মনে আনন্দের উদয় হইল ; তাহার ঘাত্ৰিগণের সঙ্গে উচ্চৈঃস্বরে “করি হরি বল” “হরি হরি বল” শব্দ করিয়া ধীরে ধীরে গাড়ী হইতে অবতীর্ণ হইলেন । এলাহাবাদ ষ্টেশনের বাহিরে আসিয়া দেবতারা একখানি ঘোড়ার গাড়া ভাড়া করিয়া গঙ্গা যমুনা ও সরস্বতী নদীত্রয়ের সঙ্গমস্থল অভিমুখে চলিলেন । সাইতে যাইতে ইন্দ্র কহিলেন, “বরুণ ! অন্তান্ত স্থান অপেক্ষ এলাহাবাদে ঘর বাড়ী এত কম কেন ?” বরুণ। এলাভাবাদে বাড়ী ঘরের সংখ্যা কম, এজন্ত ইহার আর একটা নাম ফকিরাবাদ। এখানকার পল্লীসকল পরস্পর এত দূরে অবস্থিত যে, এক একটকে এক একটা ভিন্ন ভিন্ন গ্রাম বলিয়া বোধ হয়। ষ্টেশন হইতে বেণীতীর আড়াই ক্রোশ পথ। ঘোড়ার গাড়ীতে এই সামান্ত পথ অতিক্রম করিতেও দেবগণের অত্যন্ত কষ্টবোধ হইতে লাগিল । ভাগ্যক্রমে গাড়োয়ান সে দিন একটা নুতন ঘোড়া জুতিয়াছিল। অনভ্যাসবশতঃ যাইবার সময় কখন সেটা গুইয়া পড়িবার—কখন বা দক্ষিণপশ্চিম দিকের নর্দমায় গাড়ীসহ দেবগণকে উণ্টাইয়া ফেলিবার বিধিমত প্রকারে চেষ্ট পায় । কেবল গাড়ীর পশ্চাৎভাগের ঘেগ্গড়ে তাহাদের বিপদের