*. মুঙ্গের ২৩৯ করিবার জন্য দেখুন অদ্যাপি দুইটী আলোকস্তম্ভও বিদ্যমান রহিয়াছে। যে স্থান হইতে এই সোপানশ্রেণী আরম্ভ হইয়াছে, সেই স্থানে নবাব মীরকাসিমের অন্দর ছিল । বেগমের এই স্থানে স্নান করিতেন এবং কোন বিপৎপাতের আশঙ্ক। হইলে এই গুপ্ত দ্বার দিয়া বহির্গত হইয়া পলায়ন করিতেন । - দেবগণ কষ্টহারিণী ঘাটে উপস্থিত হইয়া দেখেন—ঘাটটা বড় সুন্দররূপে বাধান। ভাগীরথী ঘাটের নিকট দিয়া কল কল শব্দে উত্তর-বাহিনী হইয়া প্রবাহিত হইতেছেন। ঘাটে কয়েকটা দেবমূৰ্ত্তি রহিয়াছে এবং কতকগুলি গঙ্গাপুত্র, সন্ন্যাসী, মোহাস্ত বাস করিতেছে । ব্ৰহ্মা কহিলেন, *বরুণ ! এ ঘাটের নাম কষ্টহারিণী ঘাট হইল কেন ? বরুণ। এই ঘাটে বসিয়া পূৰ্ব্বে মুদগল ঋষি তপস্ত করিতেন। র্তাহার তপস্তার নিয়ম ছিল, এক পক্ষ উপবাস করিয়া থাকিবেন এবং পক্ষান্তে এক দিন মাত্র তণ্ডুলকণা সংগ্ৰহ করিয়া আহার করিবেন। তাহার এইরূপ কঠিন তপস্তায় নারায়ণ অত্যন্ত সস্তুষ্ট হইলেন এবং পক্ষাস্তে যখন ঋষি তণ্ডুলকণা সিদ্ধ করিয়া আহারের উদ্যোগ করিতেছেন, তখন তিনি ব্রাহ্মণবেশে অতিথি হহয়া দেখা দিলেন । ঋষি অতিথিকে যথাবিধি সৎকার করিয়া সেই ভোজ্য দ্রব্যের অদ্ধেক প্রদান করিয়া অপরাদ্ধ নিজের আহারের জন্ত রাখিলেন । কিন্তু নারায়ণ কহিলেন, ঐ অপরাদ্ধ তাহাকে না দিলে পরিতৃপ্তরূপ আহার করা হইতেছে না। ঋষি তৎশ্রবণে সমস্ত খাদ্যদ্রব্য র্তাহাকে প্রদান করেন এবং অতিথি বিদায় হইলে সন্তুষ্টচিত্তে তপস্তা করিতে বসেন। এইরূপে এক পক্ষ অনাহারে গত হইলে দ্বিতীয় পক্ষে আবার রেমন তিনি তণ্ডুলকণা পাক করিয়া আহারের উদ্যোগ করিতেছেন, নারায়ণ পুনরায় অপর এক ব্রাহ্মণের রূপ ধরিয়া আসিয়া অতিথি হহলেন এবং ঋষির সমস্ত খাদ্যদ্রব্য আহার করিয়া প্রই করিলেন । ঋষি সস্তুষ্টচিত্তে পুনরায় তপস্ত। করিতে বসি লেন ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৮১
অবয়ব