૨૯૨ দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ । তাহার কহেন “নারায়ণ সম্বলপুরের মহাত্মা বিষ্ণুৰ্যশার ভবনে কন্ধিরূপে জন্মগ্রহণ না করিয়া গরিফা গ্রামের মহাত্মা রামকমল সেনের ভবনে কেশবচন্দ্র রূপে অবতীর্ণ হইয়াছেন।” ইন্দ্র । নারায়ণ । সাবধান। দেখ অনেক দিন তুমি পৃথিবীতে না আসায় তোমার অবতারত্ব বাজেয়াপ্ত হইতেছে। ১৪ বৎসর যদি উহারা বিনা আপত্তিতে ভোগ দখল করিয়া ফেলে, ভবিষ্যতে তুমি আদালতের আশ্রয় লইয়াও নিজ পদ প্রাপ্ত হইতে পারিবে না । বরুণ। দেবরাজ ! তুমিও সাবধান। ইংরাজরাজ দিন দিন যেরূপ উপাধি স্বষ্টি করিয়া বিতরণ করিতেছেন, যদি তাহারা “দেবরাজ” উপাধি স্বষ্টি করিয়া বিতরণ করিতে থাকেন, তোমার দশ কি হবে ? ব্ৰহ্মা। বরুণ ! বড় সুন্দর উপদেশ দিচ্চে। প্রচারক জাতিতে কি বরুণ? বরুণ। উনি জাতিতে র্তাতি । ব্ৰহ্মা। শ্ৰীবিষ্ণু! ম্যা। তাত ? বরুণ! তাতি ? চল পৃথিবী হইতে পলাই চল, এক্ষণে কলির সম্পূর্ণ অধিকার । ইন্দ্র । পিতামহ ! প্রচারক তাতি শুনে পলাতে যাচ্চেন কেন ? ব্ৰহ্মা । এক সময় কলি আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিল—“প্ৰভু ! আজ্ঞা করুন, কোন সময়ে আমি মর্ত্যে মুখে এবং নিষ্কণ্টকে রাজ্য করিতে পাইব ?” তছত্তরে আমি বলিয়াছিলাম—যে সময়ে শূদ্রে উচ্চাসনে বসিয়া ধৰ্ম্মোপদেশ দিতে থাকিবে, ব্রাহ্মণে পৈতা ত্যাগ ও শূদ্রে পৈতা গ্রহণ করিবে, সেই সময়ে তুমি জানিও তোমার সম্পূর্ণ অধিকার হইয়াছে। এক্ষণে এই তাতি প্রচারককে দেখিয়া আমার স্মরণ হইল, কলির এক্ষণে সম্পূর্ণ অধিকারকাল উপস্থিত । এখান হইতে দেবগণ বাসায় আসিয়া পরস্পরে গল্প করিতেছেন এমন সময়ে নারায়ণ কহিলেন “ঐ যা ! গয়ার পাথরবাট প্রভৃতির পোটলাটা মোকামায় ট্রেণ পরিবর্তনের সময় ফেলে এসেছি।” ব্ৰহ্ম এই কথা শ্রবণে
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৩৯৪
অবয়ব