ভাগলপুর ২৭৩ উহ! ইংরাজদিগের কেল্প। এই স্থানেই মহাত্মা কর্ণের গড় ছিল, এই চম্পাই নগরেই তাহার কর্ণপুরী ছিল । এই কথা বলিয়া বরুণ তাহাদিগকে কেল্লার নিম্নে এক স্থানে লইয়া গিয়া দুট সুড়ঙ্গ দেখাইয়া কহিলেন “এই যে সিড়ির ধাপের মত চিহ্ন দেখিতেছেন—কথিত আছে—এই সিড়ি দিয়া ‘আসিয়া কর্ণের পরিবারবর্গ গঙ্গাস্নান করিতেন।” ব্ৰহ্মা । কর্ণের পর কোন প্রসিদ্ধ লোক এখানে বাস করিয়াছিলেন ? বরুণ। আজ্ঞে, তাহার অনেক কাল পরে গন্ধবণিক্ জাতীয় চাদসদাগর নামে একজন ধনাঢ্য বণিক্ এখানে বাস করিয়াছিলেন। ঐ চাদসদাগরের কনিষ্ঠ পুত্র নখীন্দরের মনসার কোপে বিবাহবাসরে সর্পাঘাতে মৃত্যু হইলে তৎপত্নী বেহুল সতী মৃত পতির প্রাণ দান করিয়াছিলেন। ব্ৰহ্মা। বরুণ ! কি কারণে মনসার কোপ হইল এবং কি উপায়েই বা বেহুলা সতী মৃত পতির প্রাণদান করিলেন, বিশেষ করিয়া বল। বরুণ। চাদসদাগরকে বিলক্ষণ সঙ্গতিপন্ন এবং সমাজমধ্যে বিশেষ সন্মানিত দেখিয়া মনসা মনে মনে স্থির করিলেন, তাহার দ্বারা মর্ত্যে পূজা প্রচলিত করাইয়া লইতে পারিলে লোকে বিশেষ শ্রদ্ধা ভক্তির সহিত তাহার পূজা করিতে থাকিবে । তিনি মনে মনে এইরূপ সঙ্কল্প করিয়া এক দিন চাদের নিকট স্বয়ং উপস্থিত হইয়া ঐ বিষয়ের প্রস্তাব করিলেন । চাদ এক জন গোড়ী শৈব ছিলেন ; তিনি অপর দেবীর পূজা করা দূরে থাক— নাম পৰ্য্যন্ত উল্লেখ করিতেন না । সুতরাং মনসাকে ফিরাইয়া দিলেন । মনসা অপমানিত হইয়া প্রতিশোধ লইবার বাসনায় চাদের ছয়জন বিবাহিত পুত্রকে সৰ্প দ্বারা দংশন করাইয়া শমনভবনে প্রেরণ করিলেন । ইহার পর চাদ যখন তরী সাজাইয়া বাণিজ্যাৰ্থ বাহির হন, মনসা হকুমানের সাহায্যে কালিদহ নামক স্থানে তাহার তরী সমস্ত জলমগ্ন করেন। চাদকে এইরূপ বারংবার কষ্ট দিয়াও মনসার আশা মিটিল না, তিনি চাদের কনিষ্ঠ পুত্র নখীনারের প্রাণ সংহার চেষ্টায় ফিরিতে লাগিলেন। গণকের চাদকে sty -