నిe 8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন জুয়াচোর কহিল “বল, বোলতা।” বালক কহিল “বোলতা - পিতা মনে মনে ভাবিল “বোলতায় আর কত খাইবে” ; অতএব কহিল “থাক্, খাকৃ।” এদিকে জুয়াচোর রসগোল্লাগুলি খাইয় প্রস্থান করিলে দোকানী আহার শেষ করিয়া আসিয়া পুত্রকে কহিল, “রসগোল্লাগুলো কি হ’ল রে ?” পুত্র। বোলতায় থেয়ে গিয়েছে। পিতা । বোলতায় কি এত রসগোল্লা খেতে পারে ? পুত্র। বোলতা যে মানুষ । দোকানী বুঝিল—জুয়াচোরে জুয়াচুরী করিয়াছে। দেবগণও জুয়াচোরের উপস্থিত বুদ্ধি দেখিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলেন। এখান হইতে সকলে বহরমপুরের সৈন্তাশালার নিকট উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন, “নারায়ণ ! চেয়ে দেখ—সেপাইগণ মিলিটারি ড্রেসে সুসজ্জিত হইয়া প্যারেডু শিক্ষা করিতেছে।” নারা । বরুণ ! বাঙ্গালীদিগের মিলিটারি ড্রেস আছে ? বরুণ । অাছে। নারা । সে ড্রেস তাহারা কখন পরিধান করে? আর ড্রেসই বা কিরূপ ? বরুণ। বাজার হইতে বেলা দুই প্রহরের সময় ঘৰ্ম্মাক্ত কলেবরে প্রত্যাগমন করিয়া মাথায় গামছা বাধা, সন্মুখে তেলের বাট, হাতে ছক কল্কে লইয়া যখন কোন কারণ বশতঃ গৃহিণী কি বালক বালিকাগণ অথবা কৃষাণের উপর গালি বর্ষণ করিতে থাকেন, সেই প্রকৃত যুদ্ধের সময়, এবং সেই সাজই প্রকৃতই মিলিটারি সাজ । , ব্ৰহ্মা। বরুণ ! সংস্কৃত ভাষার প্রশংসা করিতে করিতে চলিয়া গেলেন, ও বাবুট কে ? উস্থার মুখে সংস্কৃত ভাষার প্রশংসা শুনিয়া আমার কিছু বিস্ময় জন্মিয়াছে ৷