মুরশিদাবাদ ৩১১ হেষ্টিংস সাহেব ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কাসিমবাজারস্থ রেসমের কুঠির রেসিডেন্ট ছিলেন । নবাব ইংরাজজাতির উপর ক্রোধান্ধ হইয়া কলিকাতা গমনের পূৰ্ব্বে এস্থানের কুঠি লুণ্ঠন করেন এবং হেষ্টিংস প্রভৃতি কয়েক জন ইংরাজকে বন্দী করিয়া রাখেন। হেষ্টিংস সাহেব কোন প্রকারে পলাইয়া কৃষ্ণকান্ত নদীর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করিলে তিনি স্বগৃহে লুকাইয়৷ রাখিয়া তাহার জীবন দান করিয়াছিলেন । ইহার পর হেষ্টিংস সাহেব যখন বাঙ্গালায় গবর্ণর জেনেরল হইয়া আসেন, তখন কৃতজ্ঞতাস্বরূপ কৃষ্ণকান্ত বাবুকে ডাকিয়া নিজের দেওয়ানি পদে অভিষিক্ত করেন। তিনি র্তাহাকে দেওয়ানি পদ দিয়াও তৃপ্ত হইতে পারেন নাই, গাজিপুর এবং রঙ্গপুর জেলায় অনেক জমীদারিও করিয়া দিয়াছিলেন। তিনি ক্রমে ক্রমে অতুল ঐশ্বৰ্য্য প্রাপ্ত হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু রাজা উপাধি প্রাপ্ত হইতে পারেন নাই। লোকে প্রথমে তাহাকে কৃষ্ণকান্ত নদী,পরে বাবু কৃষ্ণকান্ত নদী এবং তৎপরে দেওয়ান কৃষ্ণকান্ত নদী বলিয়া ডাকিত। ১১৯৫ সালে কৃষ্ণকান্ত বাবুর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তৎপুত্র লোকনাথ বাহাদুর ১৩ বৎসর রাজ্য করিয়াছিলেন। এই লোকনাথ বাহাদুরকেই হেষ্টিংস সাহেব প্রথমে রাজা উপাধি প্রদান করেন । ১২১১ সালে ইনি একবৎসরবয়স্ক পুত্র কুমার হরিনাথকে রাখিয়া লোকাস্তর গমন করেন । ১২২৭ সালে কুমার প্রাপ্তবয়স্ক হইলে রাজপ্রতিনিধি আর্ল অফ আমূহ কৃষ্ট র্তাহাকে রাজ উপাধি সহ সনন্দ প্রদান করেন। কুমার হরিনাথও বিলক্ষণ দাতা ছিলেন। তিনি কলিকাতা হিন্দুকালেজ নিৰ্ম্মাণার্থ বিশ হাজার টাকা দান করিয়াছিলেন। তদ্ভিন্ন তাহার সময় কাসিমবাজারে সংস্কৃত বিদ্যারও যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছিল । ১২৩৯ সালে ইহঁার মৃত্যু হইলে তৎপুত্র কৃষ্ণনাথ রাজ্যের উত্তরাধিকারী হইলেন। ১২৪৭ সালে ইনি প্রাপ্তবয়স্ক হইলে রাজপ্রতিনিধি আরল অফ অকৃল্যাও ইহঁাকে রাজা উপাধি প্রদান করেন। ইনিও রীতিমত সুশিক্ষিত, দেশহিতৈষী এবং বিদ্যাশিক্ষার উৎসাহদাতা ছিলেন। ডেভিড হেয়ার
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৬১
অবয়ব