পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্দ্ধমান తిరి পুত্র। যদি কেহ জান্তে পারে, পাচন যে বিকাবে না ! পিতা। ওরে বাবা ! সকলেই আমার মত পণ্ডিত। সেই দিন বৈদ্যনাথ কবিরাজ আমার কাছে গুলঞ্চ কিস্তে এসেছিল, দোকানে গুলঞ্চ না থাকাতে আমি ছুটে বাড়ীর ভিতর থেকে একটা পাকা পুইগাছ খণ্ড খণ্ড করে এনে, ওজন ক’রে দিলাম। কবিরাজ মহাশয় গণে দাম দিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে চলে গেলেন । যখন কবিরাজেরাই কপিরাজ হয়েছেন, তখন তুই ভাবচিস কেন ? ছাই ভস্ম যা দিবি, তাতেই পয়সা হবে। এই সময় মোট মাটারি সঙ্গে একটী বাবু আসিয়। রামদুলালের দোকানে উপস্থিত হইলেন। দেবগণ র্তাহার সহিত আলাপ করিয়া জানিলেন ইনি একজন ডাক্তার। দেশে কিছু না হওয়াতে বৰ্দ্ধমানে আসিয়াছেন! নারায়ণ বরুণের কাণে কাণে কহিলেন “যম কি ইহাদের খবর দিয়ে এসেছে না কি ? ইন্দ্র । এইবার বদ্ধমান সহরটা উৎসন্ন গেলেন । ডাক্তার। কি ব’ল্চেন মহাশয় ? ইন্দ্র। ব’লছি—বৰ্দ্ধমানে যেরূপ রোগের প্রাচুর্ভাব, এইবার বুঝি ইহার ধ্বংস হয় । ডাক্তার। আজ্ঞে, আমার নিকট এমন ঔষধ আছে দু এক দিনে রোগ আরাম-করতে পারি। ডাক্তার বাবু চলিয়া গেলে রামদুলালের দোকানে বিস্তর মিছরির খরিদার আসিল । এমন কি, সে দশ পনরটা কুঁদে ভাঙ্গিয়াও খরিদার বিদায় করিতে পারিল না। বেলা ১০টার সময় বাকার দিকে “হোয়া” “হোয়া” শব্দে শৃগাল ডাকিতে লাগিল। পথে অসংখ্য শব বাহির হইল, নগরে হাহাকার শব্দ উপস্থিত। এমন সৰ্ব্বনেশে ওলাউঠা এখানে কস্মিনকালেও হয় নাই, এক দাস্তেই কৰ্ম্ম নিকাশ ! ময়রাবেী ছুটয়া গিয়া বেণের দোকান হইতে কপূর কিনিয়া আনিল ও কিঞ্চিৎ ময়রার কাপড়ে বাধিয়া দিয়া