পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐ গ্রামে একটা সুন্দর অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ করাইলেন এবং ক্রমে ক্রমে বাবুর বাগানবাটী, ঠাকুরবাট প্রমোদ কানন ও স্কুলবাট প্রস্তুত হইলে দ্বারে প্রহরী বসাইয় তাহাকে আজ্ঞা দিলেন, “বাবা যদি কখন কিছু দেখিতে । আসে, গলা ধাক্কা দিয়া বিদায় করিয়া দিস।” পিতা, পুত্রের ঐশ্বৰ্য্য দেখিয়া সুখী হইলেন ; কিন্তু তাহার বাড়ী ঘর একবার চক্ষে দেখিবার ইচ্ছা হইলেও অপমানের ভয়ে দেখিতে সাহসী হইলেন না । পুল্ল, পিতার বাসভবন কিরূপে কাড়িয়া লইয়া তাহাকে গ্রাম হইতে তাড়াইয়া দিবেন, এই চেষ্টায় ফিরিতে লাগিলেন। দৈবক্রমে পিতার কোন বিষয়ের জন্ত কিছু অর্থের প্রয়োজন হইলে, পুত্র বেনামিতে পিতার বাট বন্ধক রাখিয়া টাকা কর্জ দেন। এক্ষণে সেই টাকা সুদে আসলে আদায় করিয়া লইবার জন্য পিতার নামে নালিশ করিয়াছেন । ব্ৰহ্মা । উঃ ! কি পাষণ্ড! হতভাগার মুখ দেখুলে পাপ হয়। বরুণ ! অন্ত স্থানে চল । উপ । কৰ্ত্তী জেঠা ! একটু দাড়াবে ? ব্ৰহ্মা । কেন ? উপ। আমি গোবর এনে বাবুর একটা ছাঁচ তুলে নিয়ে যাই। বরুণ । পিতামহ ! ও দিকে দেখুন হুগলী ব্র্যাঞ্চস্কুল । ঐ স্থানে পূৰ্ব্বে খাঁ জাহা নামক একজন ফৌজদারের বাস ছিল। ইন্দ্র । বরুণ ! ওদিকে দেখা যাচ্চে—ওটা কি ? বরুণ। উহার নাম ব্যাণ্ডেল চর্চ। ঐ চৰ্চটী ১৫৯৯ অব্দে খৃষ্ঠানদিগের দ্বারা নিৰ্ম্মিত হয়। উহার চুড়া অনেকদুর হইতে দেখিতে পাওয়া যায়। এখান হইতে যাইয়া দেবতারা এমামবাড়ীর বাটতে প্রবেশ করিলেন এবং চতুর্দিকে চাহিতে লাগিলেন। দেখেন বাড়ীট দুই তালা । বাটর মধ্যস্থলে একটা পুষ্করিণী। ক্রমে সকলে এমামবাড়ীর বিস্তৃত দালানে গিয়া উঠিয়া দেখেন—নানা রঙ্গের ঝাড়, লণ্ঠন, আয়না, দেয়ালগিরি দ্বারা