বৈদ্যবাটী ৪২১ হইতে লর্ড ক্লাইব, ওয়ারেণ হেষ্টিংস এবং সার উইলিয়ম জোন্স প্রভৃতি নাটকাভিনয় দর্শন করিতে আসিতেন । ইন্দ্র । বরুণ । ঐ সব যাত্রী কোথায় যাচ্চে ? বরুণ । তারকেশ্বরে। ব্ৰহ্মা । বরুণ ! আমাদেরও যে তারকেশ্বরে যেতে হবে ; কারণ, উপর কল্যাণে পূজা মেনেছি। বরুণ। চলুন আপনাকে নিয়ে যাব । দেবগণ একটা দোকানঘরে আহারাদি করিয়া কিঞ্চিৎ বিশ্রামের পর দশ টাকা দিয়া একখানি ঘোড়ার গাড়ী ভাড়া করিলেন এবং বেলা আন্দাজ একটার সময়ে তারকেশ্বর অভিমুখে যাত্রা করিলেন। গাড়ী এক স্থানে উপস্থিত হইলে নারায়ণ কহিলেন, “বরুণ ! ঐ সব ধ্বংসাবশেষ বাড়ীঘর দেখা যাইতেছে—কাহার ?” বরুণ। ঐ স্থানের নাম সিঙ্গুর। ঐ যে বাড়ীঘর এবং গড়ের ধ্বংসীবশেষ দেখিতেছ, উহা সিঙ্গুরের বাবুদিগের। ইহঁদের এক সময় বিলক্ষণ সঙ্গতি ছিল । ইহঁদেরই নব বাবুর একটা বৈঠকখান হুগলীতে আছে। উহাতে পূৰ্ব্বে নৰ্ম্মাল স্কুল হইত। এক্ষণে আর ইহঁদের বিষয়বিভব তাদৃশ নাই । এই সময় সকলে দেখিলেন—একটা আডডাতে বসিয়া যাত্রিগণ জলযোগ করিতেছে । দেবগণের গাড়ী এখান হইতে ধীরে ধীরে যাইয়া ঘোলা নামক স্থানের সন্নিকটে উপস্থিত হইলে উপ চীৎকার করিয়া কহিল, *বরুণ-কাক ! দেখা যাচ্চে—ওটা কি ?” বরুণ। দেখ দেবরাজ ! এই স্থানের নাম ঘোলা। ঐ অত্যুচ্চ বাড়ীটি সাঙ্কেতিক টেলিগ্রাফের ঘর । উহা সৰ্ব্বসমেত প্রায় সাত-তাল । টেলিগ্রাফ প্রচলিত হইবার পূর্বে উহার উপর একজন লোক লাল, কাল প্রভৃতি নানা রঙ্গের নিশান হাতে করিয়া বসিয়া চতুৰ্দ্দিকৃ দর্শন করিত এবং