88: দেবগণের মর্ত্যে আগমন মন্দির ভগ্নাবস্থায় ভাগীরথীতীরে বর্তমান আছে। ১৮৮৫ সালে গৌরচরণ মল্লিক বর্তমান মন্দিরটা নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন এবং ঠাকুরের সেবার জষ্ঠ প্রাত্যহিক ২ দুই টাকা বৃত্তি ধাৰ্য্য করিয়া দিয়াছেন । ১২৫৭ সালে প্রণামী* লইয়া গোল হওয়ায় মাহেশের জগন্নাথ আর রথের সময় রাধাবল্লভের গৃহে আসেন না । কলিকাতার শিবকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় বল্পভের রথ ও জগন্নাথ নিৰ্ম্মাণ করান। রাজা নবকৃষ্ণ সেবার্থ বল্লভপুর দান করেন। কলিকাতা বৌবাজারের শিবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের ভগিনী ক্রমতী আনন্দময়ী ঠাকুরাণী ১২৪৫ সালে বল্লভপুরের ঘাট প্রস্তুত করিয়া দেন। ঘাটের দুই পাশ্বে দুইটী নহবতখানা আছে । কলিকাতার মতি মল্লিক রাসমঞ্চ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন । রুদ্ররাম পণ্ডিত বিবাহ করেন নাই ; তাহার ভ্রাতু-পুত্র রতিরাম, ঠাকুরের সেবার ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। রতিরামের বংশ অদ্যাপি বর্তমান আছে। ইহঁরা সোণার বেশের দান গ্রহণ করিয়া পতিত হন—এক্ষণে চতুঃসাগরী করিয়া জেতে উঠিয়াছেন। দেবগণ ভাগীরথী তীরে উপস্থিত হইলে বরুণ কছিলেন, “দেবরাজ ! পর পারে যে স্থান দেখিতেছ, উহার নাম বারাকপুর” দেবগণ বারাকপুর দেখিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলে বরুণ একখানি নৌকা ভাড়া করিয়া সকলকে উঠিতে কহিলেন। সকলে নৌকারোহণ করিলে পিতামহ তীরের দিকে চাহিয়া দেখেন—এক ব্রাহ্মণের গাত্রে নামাবলি, সৰ্ব্বাঙ্গে হরিনামের ছাপ। সে, পাছে কোন অস্পৃশু দ্রব্য স্পর্শ করিতে হয় এই আশঙ্কায়, লাফাইয়া লাফাইয়া যাইতেছে। পিতামহ লোকটাকে ধাৰ্ম্মিক মনে করিয়া একদৃষ্টে চাহিতে লাগিলেন ; ক্রমে নৌকাও গিয়া পর পারে লাগিল ।