পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারাকপুর 88ዔ দিতেন। গভীর নিশীথে কোন দরিদ্র ব্যক্তি, তাহার পীড়িত পুত্রকে দেখিতে যাইবার জন্য দুর্গাচরণকে মিনতি করিলে, তিনি কখনই তাহার প্রার্থন অগ্রাহ করিতেন না –আহারের বিষয়ে তাহার কিছুমাত্র পারিপাট্য ছিল না । তিনি নারীজাতিকে মাতার দ্যায় বোধ করিতেন। জাতিভেদ ইনি মানিতেন না এবং পৌত্তলিকতায় ইহঁার আস্থা ছিন না। অবশেষে সাতিশয় শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে তাহার স্বাস্থ্যভঙ্গ হইল ; এবং তৎপুত্র সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিলাতে সিবিল সাৰ্ব্বিস | পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারেন নাই, এই সংবাদে র্তাহার হৃদয়ে মৰ্ম্মাস্তিক আঘাত লাগিল। ১৮৬১ খৃঃ অব্দের ১৬ই ফেব্রুয়ারি তিনি অকস্মাৎ জররোগে আক্রাস্ত হইলেন এবং ছয় দিবস কাল জর ও পরিশেষে কাশরোগ ভোগ করিয়া ২২এ ফেব্রুয়ারি বেলা একটার সময় বাঙ্গল্প বৎসর বয়ঃক্রমকালে প্রিয়তমা পত্নী এবং পাচপুত্র ও এক কন্যা রাখিয়া কলেবর পরিত্যাগ করেন । • 象 বরুণ সকলকে লইয়া পুনরায় ত্রীরামপুরে আসিলেন এবং ব্যাগ হস্তে গল্প করিতে করিতে ষ্টেশন অভিমুখে চলিলেন। দেবগণ একস্থানে উপস্থিত হইয়া দেখেন—এক ব্রাহ্মণ একটা বাড়ীর দ্বারে ধীরে ধীরে আঘাত করিয়া অতি মৃদ্ধ স্বরে কহিতেছে—“বাম, দোর থোল, আমি এসেছি।” পিতামহ জ্যোৎস্নার আলোকে ব্রাহ্মণের মুখ দেখিয়া চিনিলেন, ইনিই তিনি—যিনি অপরাহ্নে খেয়াঘাট হইতে পাছে কোন অস্পৃশু দ্রব্য স্পর্শ করিতে হয়, এই আশঙ্কায় লাফাইয়া লাফাইয়া আসিতেছিলেন। বরুণ । ঠাকুরদা ! এই বামুনকে দেখিয়া এক সময়ে আপনার বড় ভক্তি হইয়াছিল ; এক্ষণে ইহঁার কার্য্য দেখুন। এটা বেণ্ডাবাড়ী। ঐ বামুনের বামী নামে একটা রক্ষিত বেগু এই বাড়ীতে বাস করে। ঠাকুর রজনীতে সেই বামীর নিকট এসেছেন। এই সময় বামী আসিয়া দ্বার খুলিল এবং “পোড়ার মুখে কাল রাত্রে