8৬২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন যে এত অস্থির ; কিন্তু আজ ইহঁাদের কষ্ট দেখিয়া আমার যন্ত্রণা আরও বৃদ্ধি হইতেছে। সখি, ভারতেশ্বরের কোন পুত্র, কি কোন গবর্ণর আজ যদি আসিতেন কি যাইতেন—কি সমারোহ হইত। কলিকাতার যত বড় বড় লোক মহাসমারোহে নামাইতে আসিতেন। স্কুলের ছেলেগুলা নিশান হাতে আসিয়া উপস্থিত হইত। দোকানী পশারীরা দোকান বন্ধ করিয়া দেখিতে আসিত। আর এতক্ষণ গুড়ুম গুড়ুম শব্দে তোপ পড়িবার ধূম লাগিত। যাকৃ—কলির কুলাঙ্গারের যা করে করুক, তোমরা আর অযত্ব করিও না । ত্বরায় তোমরা সকলে পদ প্রক্ষালন করিয়া দাও।” তরঙ্গমালা তৎশ্রবণে “ধড়াস” “ধড়াস’ শব্দে সকলের পদ প্রক্ষালন করিতে যাইয়া পাছক দৃষ্টি প্রত্যাগমন করিল এবং তৎপরে কল্পোলিনী কল কল শব্দে কাদিতে কঁাদিতে যাইয়া পিতামহের চরণে প্রণাম করিলেন । ব্ৰহ্ম। এস মা আমার. এল আমার মা ! হ্যা মা ! তোর কি দয়া নেই ? আমি সমস্ত পথ কঁাদিতে কঁাদিতে এলাম। আজ তোমার শরীর এমন মলিন, কেশ সকল ছিন্ন বিচ্ছিন্ন এবং শরীরে গাত্রাভরণ নাই কেন ? গঙ্গা । পিতঃ । আপনি আমাকে দেখিবার জন্ত সমস্ত পথ কঁাদিতে কাদিতে এসেছেন সত্য ; কিন্তু চেয়ে দেখুন—আমাকে কি প্রকার বেঁধেচে । এ বন্ধন ছিন্ন করিয়া কি আমার এক পা চলিবার সামর্থ্য আছে ? পিতামহ তৎশ্রবণে পোলের প্রতি চাহিলেন । বন্ধন দেখিয় তাহার মনে আতঙ্কের উদয় হইল, বুক ফুপ, ফুপ করিতে লাগিল । তিনি বিনা বাক্যব্যয়ে সেই দিকে চাহিয়া রহিলেন । বরুণ। যখন প্রথমে এর পোল প্রস্তুত হয়, আমরা ভাঙ্গিবার জন্য বিধিমতে চেষ্টা পাইয়াছিলাম এবং সাইক্লোন-(মহাঝড় )-কেও পাঠান হইয়াছিল ; কিন্তু সে অল্প সময় মাত্র যুদ্ধ করিয়া বঙ্গদেশ পাছে ধ্বংস হয়,