8ግ& দেবগণের মর্ত্যে আগমন হইয়া পিতামহ কহিলেন, “উঃ! বাবা ! দক্ষিণ দিকে একটা গলি গিয়াছে দেখ !” দেবগণ চাহিয়া দেখেন—গলির মধ্যে একটা ত্রিতল বাড়ীর পশ্চাদ্ভাগে নরদামার ধারে একটা লোক বসিয়া আছে। শীতপ্রযুক্ত তাহার গাত্রে একখানা মোট বস্ত্র, মস্তকে পাতলা চাদরের পাগড়ী বাধা । দেবগণ ঐ ব্যক্তি প্রস্রাব করিতেছে ভাবিয়া দাড়াইয়া দাড়াইয়া দেখিলেন ;. কিন্তু সে আর উঠে না। তখন নারায়ণ, ক্রতপদে সেই দিকে যাইলে লোকটা উঠিয়া এক দিকে পলাইল। নারায়ণ আশ্চর্যান্বিত হইয়া চতুর্দিকে চাহিতে চাহিতে দেখেন—সেই ত্রিতল বাড়ীর উপর হইতে পৈতার স্থতায় । বাধা একটা শালপাতার ঠোঙ্গা নামিতেছে। নারায়ণ তদৃষ্টে সেই লোকটার দ্যায় নরদামার নিকট বসিয়া ঠোঙ্গার প্রতি চাহিতে লাগিলেন। ক্রমে ক্রমে ঠোঙ্গাট নিকটে আসিয়া উপস্থিত হইলে তিনি স্থত হইতে পটু করিয়া ছিড়িয়া লইয়া দেবগণের নিকট আসিলেন । দেবগণ ঠোঙ্গ খুলিয়া হাসিতে লাগিলেন। দেখেন ঠোঙ্গাট নানাবিধ মিষ্টারে পরিপূর্ণ। তদ্ভিন্ন কয়েকটা পাণের খিলি ও একখানি পত্র ছিল। পত্ৰখানি স্ত্রীলোকের হাতের লেখা। পত্রে লেখা রহিয়াছে, “ভাই ! আজি অবশু অবস্ত আসিবে । আজ আসিলে বিফল হইবে না। আজ শনিবার, সকলে বাগানে যাইবে, তুমি অনায়াসে নিশা যাপন করিতে পারিবে ।” “ঠাকুর কাকা । চিঠিখানা দেওন, প’ড়ে দেখি” বলিয়া, উপ যেমন নারায়ণের হস্ত হইতে পত্ৰ লইতে গিয়াছে, নারায়ণ অমূনি ঠাস করিয়া তাহার গালে এক চপেটাঘাত করিলেন । রাস্তা দিয়া একটা লোক যাইতেছিল, বলিল, “মহাশয়! ওরূপ ক'রে মার্বেন না, “পগুর-প্রতি অত্যাচারনিবারিণী সভা” দেখতে পেলে বিরক্ত হবেন।” “উপ, খা” বলিয়া, দেবরাজ সেই মিষ্টান্নপূর্ণ ঠোঙ্গটি উপর হস্তে প্রদান করিলেন। দেবগণ রাস্তার ধারে ধারে চলিলেন। বরুণ যত উপকে বলেন, “উপ,
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৬২
অবয়ব