পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৬৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা 8ఫిలి নতে জলিয়া উঠিল, একটু জল বাহির হইল। মনে মনে ভাবিলেন, “মর্ত্যে আসিয়া যদি চক্ষু হারাইয়া যাই, প্রাচীন বয়সে বড় কষ্ট পাইতে হইবে, অতএব দুচারিটি পয়সা ব্যয় করিয়া কিঞ্চিৎ ঔষধ লইয়। রাখি”, ভাবিয়া কহিলেন, “দাও । আমাকে চারি পয়সার চক্ষের ঔষধ দাও।” মুসলমান হাসিয়া কহিল “আমি চিকিৎসক নহি, কিংবা পয়সা লইয়। ঔষধ বিক্রয় করা আমার ব্যবসা নহে ; তবে আপনার চাউনি দেখে কেমন কেমন বোধ হওয়াতেই চক্ষের পীড়া আছে সন্দেহ করিলাম । যাকৃ—আমি যে কয়টা মসলা বলি দু চারিট পয়সা খরচ ক’রে বেণের দোকান থেকে কিনে নিয়ে সব কয়টা বেটে চক্ষে প্রলেপ দিবেন, দুইচারি দিনেই সেরে যাবে।” বলিয়া মুসলমান পকেট হইতে একটু কাগজ ও পেন্সিল বাহির করিয়৷ লিখিয়া দিল । নারা । কোন দোকানে এ সব দ্রব্য পাওয়া যাবে ? মুদ। যে দোকানে বলবেন, সেই দোকানেই পাবেন। তবে কোন বেটা না প্রতারণা করে । এই কলিকাতা সহরে, মহাশয় ! প্রতারকের অসদ্ভাব নাই এখানকার প্রায় সকল বেটাই জুয়াচোর। আপনার এক কাজ করুন, সম্মুখের ঐ বেণের দোকানটা হ’তে কিনে লউন ও লোকটা ভদ্রলোক, আর গাছগাছড়া অনেক চেনে । দেবগণ এই কথায় সম্মত হইয়। সেই দোকানে প্রবেশ করিয়া ঔষধের নাম কয়েকট বলিলেন। বেণে কহিল “এক টাকা মূল্য দিতে হবে মহাশয় ।” ইন্দ্র । এক টাকা ! যে লোক ব’লে দিলে সে যে চারি পয়সা মূল্য লাগিবে ব’ল্লে ! দোকা । তা হবে না কেন ? যে দোকানী ধেটার জুয়াচুরি করে, তাহারাই ঐ মুল্যে দিতে পারে । আমাদের ধৰ্ম্মভয় আছে, যা তা দিতে পারিনে। সত্যি, আপনাদের নিকট এক টাকা নিয়ে কিছু রাজা হব না, পরকাল ত আছে ।