কলিকাতা ..G.H.V. ইন্দ্র। লক্ হাসপাতাল কি ? বরুণ। ঐ স্থানে চৌদ্দ আইনের পরীক্ষা লওয়া হইত। যে বেণ্ডার রোগ থাকিত, এই স্থানে রাখিয়া আরোগা না হওয়া পৰ্য্যন্ত তাহাকে চিকিৎসা করা হইত । নারা। বলিহারি ইংরাজরাজকে! ইহঁদের দেখছি সকল দিকেই দৃষ্টি আছে। ভাল বরুণ ! এত রোগ থাকিতে বেস্তাদিগের ও রোগের প্রতি রাজপুরুষদের চিত্তাকর্ষণ হইল কেন ? বরুণ। গোরারা বেগুলিয়ে যাইয়া ঐ রোগগ্ৰস্ত হওয়াতে চৌদ্ধ আইন প্রচারিত হয়। যাহা হউক, নারায়ণ । লালবাজার পুলিসটা কেমন দেখি তেছ বল ? নারা। ঠিক যেন দ্বিতীয় কালান্তকপুরী। বরুণ। এই পুলিসে কলিকাতর যত ফৌজদারী মকদ্দমা হইয়া থাকে। এখানে চারি জন পুলিস ম্যাজিষ্ট্রেট আছেন। তাহার কলিকাতার উত্তর পূৰ্ব্ব দক্ষণ পশ্চিম চারি বিভাগের যাবতীয় ফৌজদারী মকদমা করিয়া থাকেন ; ইহা ব্যতীত অবৈতনিক ম্যাজিষ্ট্রেট মহোদয়েরাও এখানে আসিয়া বিচার করেন । দেবগণ একটা গৃহে প্রবেশ করিয়া দেখেন–বিচারাসনে একটী বাঙ্গালী বসিয়৷ বিচার করিতেছেন । নিকটে বাদী প্রতিবাদীর উকীল মোক্তারগণ, দাড়াইয়া অলছেন । পাহারাওয়ালার উপকে লইয়া এইখানে প্রবেশ করিল এবং বাগবাজার থানার ইনস্পেক্টর একজন মাতালকে ঝোলায় করিয়া গদ্যান্ত আসামীর সহিত আনিয়া উপস্থিত করিল । প্রথমেই উহাদের বিচার আরম্ভ হইল। হাকিম মাতালকে কহিলেন, “তুমি অমুক ব্যক্তির গাল কামড়াইয়৷ দিয়াছ কেন ?” মাতাল কহিল, “হুজুর ! ও নিজের গাল নিজে কামড়াইয়া আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়া আপনার নিকট অভিযোগ করিয়াছে। আপনি সুবিজ্ঞ হাকিম, বিচার করিয়া দেখুন, উহার গাল