©Ꮼ8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন দিলে—প্রাণ যায়, রক্ষা কর । উঃ ! বাবা, রগ ফুটে যেন ছিড়ে প’ড়চে ।” বরুণ । ভয় কি ? ও ঔষধে প্রথমে ঐরূপ হয় ; একটু কষ্ট সহ ক’রে থাক, এখনি জ্বালা যন্ত্রণ নিবৃত্তি হবে ? ইন্দ্র। না না, প্রাণ যায়, উপ শীঘ্ৰ ক’রে একঘট জল আন, মাথাটা ধুয়ে ফেলি। বাপ ! কি যন্ত্রণা ; তবু যমকে ডেকে আনিনি। ব্ৰহ্মা । ভাই, দুঃখ বিনা মুখ হয় না, একটু কষ্ট সহ ক’রে থাক তা হ’লে কাল চুলে স্বর্গে যেতে পারবে । তাহার পিতামহের ব্যঙ্গোক্তিতে বিনা-বাক্যব্যয়ে শয়ন করিয়া রছিলেন। পিতামহ কহিলেন “উপ, কি কতকগুলো কেতাব কিনে এনেছিস, একখানা পণ্ড দেখি ?” উপ তৎশ্রবণে নীলদর্পণ নাটক পড়িতে আরম্ভ করিল। পিতামহ নাটক শুনেন আর শিউরে শিউরে উঠিয়া বরুণকে কহেন “সত্য সত্য নাকি ? উঃ সাহেবদের মধ্যেও কি এমন চণ্ডাল আছে ? কেতাবখানা বডেড লিখুচে ! এ লোকটা কে বরুণ ?” বরুণ। ইহঁার নাম দীনবন্ধু মিত্র । ইনি কৃষ্ণনগরের অস্তঃপাতী চোবেড়ে নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ইহার পিতার নাম ৮কালাচাদ মিত্র। প্রথমে ইনি হুগলী কলেজে ও তৎপরে হিন্দু কলেজে বিদ্যাধ্যয়ন করিয়াছিলেন। বিদ্যালয় পরিত্যাগ করার পর ইনি কিছুদিন হিন্দু কলেজের শিক্ষকতার কার্য্য করেন ও তৎপরে পোষ্ট আফিস সংক্রাত্ত কার্য্যে নিযুক্ত হন। ইনি নীলদর্পণ, লীলাবতী, সধববার একাদশী, বিয়েপাগল বুড়ে, নবীন তপস্বিনী, স্বরধুনী কাব্য, দ্বাদশ কবিতাবলী, জামাইবারিক ও কমলে কামিনী প্রভৃতি উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট পুস্তক লিখিয়া অমরত্ব লাভ করিয়াছেন। গবর্ণমেণ্ট ইহঁার বিদ্যা-বুদ্ধির পরিচয় পাইয়া রায় বাহাদুর উপাধি প্রদান করিয়াছিলেন । ব্ৰহ্মা । আহা ! ভাল লোকগুলিকেই যম আগে লয় ।