কলিকাতা ৬১৭ এখানে নানা রকমের রোগীদিগকে চিকিৎসা করা হয়। কোন নুতন রকমের রোগী পাইলে এখানকার চিকিৎসকগণ যত্নের সহিত চিকিৎসা করিয়া থাকেন । এই মেডিকেল কলেজে অনেকগুলি অধ্যাপক আছেন । তাহাদের এক এক জনের উপর এক এক রোগ দেখিবার ভার অর্পিত আছে । ঐ অধ্যাপকদিগের অধীনে আবার এক একজন করিয়া আসিষ্টাণ্ট অর্থাৎ বাঙ্গালী সহকারী ডাক্তার আছেন। র্তাহারাই রোগী দেথিয়৷ ঔষধের ব্যবস্থা করেন এবং রোগ নির্ণয় করিতে অসমর্থ হইলে অধ্যাপককে আনিয়া দেখান। অধ্যাপকের বেল ৬টা হইতে ৯টা পৰ্য্যস্ত সহকারী ডাক্তারদিগের প্রদত্ত ঔষধের ব্যবস্থাপত্র সকল দেখিয়া ভাল মন্দ বিচার করেন । নারা । বরুণ ! এক একজন ডাক্তারের সঙ্গে ২০২৫টা করে ছেলে ঘুরে বেড়াচ্চে কেন ? এত ছেলে জুটালে কোথা হতে ? বরুণ। ছেলেরা, সব এই মেডিকেল কলেজের ছাত্র । এই ছাত্রেরা শিক্ষকের সহিত আসিয়া রোগীদিগকে ঔষধ খাওয়ায়, ক্ষত স্থান ধৌত করিয়া ঔষধ লেপিয়া দেয়। রোগিগণ মনে করে, ইহারাই আমাদের পেটেব ছেলে। ফলতঃ ইহারা অসময়ে পুত্রের কাজ করিয়া থাকে। কিন্তু এই সময় হইতেই মানুষ মারা শিক্ষা করে ? উপ। বরুণ-কাকী ! তুমি বল্পে অসময়ে পুত্রের কাজ করে তবে কি মুখাগ্নি পৰ্য্যস্ত করিয়া থাকে ? নারা । ভাল বরুণ! রোগীগুলো মলে কি করে ? বরুণ। মলে মৃতদেহ মেডিকেল কলেজের মধ্যে লইয়া যায়। তথায় লইয়া গেলে চামকাটার। যেমন মরা গরু পেলে চতুর্দিকে বসিয়া চামড়াখানা কাটিয়া লয়, তদ্রুপ ছেলেরা ঐ মৃতদেহটাকে পরিবেষ্টন করিয়া দেহের মধ্যে কোথায় কোন শিরা আছে কাটিয়া দেখে । ইহাদের দেখা শেষ হইলে ঐ মৃতদেহ কাম্বেল হাসপাতালে প্রেরিত হয়, তথাকার বাঙ্গাল ক্লাসের ছাত্রেরা