అశీy দেবগণের মর্ত্যে জাগমন বরশ। ইনি আন্দাজ ১৬৪৩ শকে হালিসহর পরগণার অন্তর্গত কুমারহট্ট নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ইহার পিতার নাম রামরাম সেন। ইছারা জাতিতে বৈদ্য। রামপ্রসাদ বাল্যকালে বাঙ্গাল, সংস্কৃত, পারস্ত ও হিন্দি ভাষা স্কুন্দররাপে শিক্ষা করিয়াছিলেন। যৌবনের প্রারস্তে ইহঁার পিতৃবিয়োগ হওয়ায় সমস্ত সংসারের ভার তার নিজ স্কন্ধে পড়ে, সুতরাং কলিকাতার কোন ধনাঢ্য ব্যক্তির বাড়ীতে আসিয়া একটা মুহুরিগিরি কৰ্ম্মে নিযুক্ত হন। ইনি যে সমস্ত থাত পত্রে জমীদারি হিসাবাদি লিখিতেন, অবসর পাইলেই ঐ খাতার চারি ধারে যে শাদা স্থান থাকিত, তাহাতে সঙ্গীত লিথিয়া পরিপূর্ণ করিয়া রাখিতেন। এক দিন ইহার প্রভু ঐ থাত দেখিয়া অত্যন্ত বিরক্ত হন, অবশেষে পাঠ করিয়া বিস্মিত ও মুগ্ধ হইয়া রামপ্রসাদকে ‘কেন তিনি দাসত্ব স্বীকার করিয়াছেন ? জিজ্ঞাসা করেন। রামপ্রসাদ তত্ত্বত্তরে সংসারের কষ্টের বিষয় জ্ঞাত করাইলে তিনি ত্রিশ টাকা করিয়া মাসিক বৃত্তি দিবেন প্রতিশ্রুত হইয়া দাসত্ব হইতে মুক্ত করিয়া দেন। এই বৃত্তি পাইয়। রামপ্রসাদ বাটী আসিয়া অহোরাত্র কেবল শক্তিবিষয়ক সঙ্গীত, সংকীৰ্ত্তন ও সাধন ভজনায় অতিবাহিত করিতে লাগিলেন । এই সময় কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় তাহার গুণের কথা শুনিয়া সাক্ষাৎ করেন এবং গুণের পরীক্ষা লইয়। বিশেষ আহলাদ প্রকাশ করেন। রাজা তাহাকে নিজের সভাসদ করিবার প্রস্তাব করিলে রামপ্রসাদ অসন্মত হন । ষাহী হউক, রাজা ইহাতে অসন্তুষ্ট না হইয়া কবিরঞ্জন উপাধি ও এক শত বিঘা নিষ্কর ভূমি প্রদান করিয়াছিলেন। রাজদত্তভূমি ও উপাধি প্রাপ্ত হইয়া রামপ্রসাদ কৃতজ্ঞতাস্বরূপ একখানি বিদ্যাসুন্দর পুস্তক লিখিয়া রাজাকে উপহার প্রদান করেন। ইনি কালীকাৰ্ত্তন নামক একখানি কাব্যগ্রন্থও প্রণয়ন করিয়াছিলেন। তদ্ভিন্ন শিবকীৰ্ত্তন প্রভৃতি আরও কতকগুলি কাব্য লিখিয়া গিয়াছেন। ইহার কালাকীর্তন গ্ৰন্থখানি অধিকতর উৎকৃষ্ট। ইহঁার স্বস্ট নুতন মুর