পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা الاع ولا প্রতি চাহিয়া হাস্ত করিয়া কছিলেন, “উপ যেন আমাদের বৃহস্পতির প্রপৌত্র সেজে এসেছে।” দেবতারা ইহার পর জলযোগ করিলে ইন্দ্র কছিলেন, “পিতামহ । মর্ত্যে আসিয়া কেবল পাপকাৰ্য্য দেখা যাইতেছে। লোকের আচার-ব্যবহার দৃষ্টে বোধ হয় এক্ষণে কলির শেষ দশা ; অতএব আপনি কলিমাহাত্ম্য বর্ণন করুন । ব্ৰহ্মা। এই কলিকালে সত্য, ধৰ্ম্ম, পবিত্রতা, ক্ষমা, দয়া, আয়ু, বল এবং স্মৃতি বিনষ্ট হইবে । এই কালে ধনই মঙ্গুষ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ পদার্থ হইবে এবং ধৰ্ম্মনিৰ্দ্ধারণ-বিষয়ে ধনই বলবৎ হইবে । এই কলিতে রুচি অনুসারে বিবাহ ক্রয়-বিক্রয় হইবে । এই কালে ব্রাহ্মণদিগের চিহ্ন মধ্যে কেবল যজ্ঞস্বত্র গাছটা গলে থাকিবে ; আচার বিনয় বিদ্যা প্রভৃতি গুণগুলি তাহাদিগের নিকট হইতে বিদায় লইবে । কলির পণ্ডিতেরা বহুবাক্য ব্যয় করিবেন এবং অর্থলোভে অন্যায় ব্যবস্থা-পত্র প্রদান করিতেও সঙ্কুচিত হইবেন না । এই সময়ে কেশধারণ কেবল সৌন্দর্য্যের জন্য হইবে। মনুষ্যগণ সৰ্ব্বদা শীত, বাত, রৌদ্র, বর্ষ, ক্ষুধা, তৃষ্ণ ব্যাধি এবং চিন্তার দ্বারা অতিশয় কষ্ট পাইবে । মনুষ্যদিগের পরমায়ু ৫০ বৎসর স্থির থাকিবে, কিন্তু অধিকাংশ ২২২৫ বৎসর বয়সেই মানবলীলা শেষ করিবে। এই কালে দেহিদিগের দেহ খৰ্ব্বাকৃতি ও ক্ষীণ হইবে এবং মনুষ্যদিগের জাতিভেদ ও বর্ণভেদ থাকিবে না। মন্তষ্যের চৌর্য্যকার্য্যে তৎপর হইবে, মিথ্যা ভিন্ন সত্য ভ্ৰমেও বলিবে না এবং বৃথা হিংসা ইহাদিগের স্বভাবসিদ্ধ গুণ হইবে । এই কালের গো সকল ছাগবৎ খৰ্ব্বাকৃতি হইয় অল্প দুগ্ধ প্রদান করিবে, স্থতাদিতে পূর্বের ভায় গন্ধ ও মিষ্টতা থাকিবে না এবং বৃক্ষাদিতেও প্রচুর পরিমাণে ফল জন্মাইবে না। লোকে পিতা মাতার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হইবে, ভ্রাতা ভ্রাতার সৰ্ব্বনাশের চেষ্টা করিবে। ঔষধ সকলের গুণ ক্ষীণ হইবে ; মেঘ হইলে জল হইবে না, কেবল বিদ্যুৎ ও বজ্রপাত হইবে এবং মনুষ্যগণের গর্দভের দ্যায় আচরণ