পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৮৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩৪ দেবগণের মর্ত্যে আগমন তাঁরন্থ গোয়ালনা নামক স্থান পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। কলিকাতার পর পারে যেমন হাবড়া, এ পারে তেমনি শিয়ালদহ। এই ষ্টেশনের মধ্যে রেলওয়ের এজেণ্ট অফিস, ইঞ্জিনিয়ার অফিস, একাউন্টেন্ট অফিস, অডিট ও ট্রাফিক অফিস এবং লোকোমটিভ অফিস নামে কতকগুলি অফিস আছে । উপ। এ রেলওয়েতে আমার কৰ্ম্ম হয় না ? এখানেও কি বড়বাৰু আছে ? দেবগণ একটী সুন্দর দালানের মধ্যে প্রবেশ করিলে বরুণ কহিলেন “এই দালানে রেলওয়ে যাত্রীরা আসিয়া ট্রেণের জন্ত অপেক্ষা করিয়া, থাকে। দালানট বড় সুন্দর, ইহার উপবিভাগটা দেখ, কেমন নান বর্ণে চিত্রবিচিত্র করা । ১৮৬২ অব হইতে রেলওয়ের গাড়ী চলিতে আরম্ভ হইয়াছে। এই রেলওয়ের একটি শাখা চিৎপুর ও বাগবাজারের মধ্য দিয়া আরমানী ঘাট পৰ্য্যন্ত গিয়াছে। পূৰ্ব্বে এই আরমানী ঘাটে, ই, আই, বেলওয়ের কলিকাতা ষ্টেশন ছিল । ভাগীরথীতে পোল হওয়া পৰ্য্যন্ত ষ্টেশনট উঠিয়া গিয়াছে। এক্ষণে এই রেলওয়ে কোম্পানী ষ্টেশনটা ক্রয় করিয়া মালগুদাম করায় কলিকাতার মহাজনদিগের যত মালামাল যাইয়া জমিতেছে, তৎপরে ট্রেণে বোম্বাই হইয়া রেলপথে এখানে আসিতেছে। হাটখোলা প্রভৃতির মধ্য দিয়া যখন গাড়ি আইসে, তখন মহাজনের মালামাল তুলিয়া দিয়া থাকে। এখান হইতে বহির্গত হইয়া দেবগণ দেখেন—একটা মাতাল অপরিমিত মদ্য পান করিয়া রাস্তায় পড়িয়া বমি করিতেছে । আর একটা মাতাল নেশায় জ্ঞানশূন্ত হইয়া সেই বমিগুলো লইয়া খাইতেছে। দেবগণ তদ্বষ্টে “ওয়াকৃ” “ওয়াকু” শব্দে অন্যদিকে যাইলেন। পিতামহ কছিলেন “জীবিষ্ণু! মাতালদের কাণ্ডগুলো দেখে আমি বড় আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইতেছি।” এখান হইতে সকলে ২৪ পরগণার মুন্সফী আদালত, ছোট আদালত