কলিকাতা Wo X তেল দিয়ে দেয়, একি আপনার জানেন না 7 নচেৎ এত তেল সস্তী কাদের ঘরে ?” বাবুর তৎশ্রবণে পায়ের ইকিং খুলিয়া তৈল মাখাইয়া লইয়া, ছল করিয়া একে একে সরিয়া পড়িলেন। সেই অবধি নাকে কানে খত দিয়া প্রতিজ্ঞা করিলেন—চির দিন হাত পুড়িয়ে খেয়ে অরুচি জন্মে সেও ভাল, তথাপি আর বিনা নিমন্ত্রণে মুখ বদলাইতে যাইব না। সকলকে লইয়া বরুণ বারইয়ারিতলার অভিমুখে চলিলেন। দেবগণ উপস্থিত হইয়া দেখেন, লোকে লোকারণা ! একখানি গৃহে বিন্ধ্যবাসিনী মূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছেন। আটচালাখানিকে ঝাড়লণ্ঠন দিয়া চমৎকার করিয়া সাজাইয়াছে। ঝাড়লন্ঠনের উপর শোলার সালিক ও বুলবুলি পার্থীগুলি বসিয়া আছে। থামগুলিতে নানাপ্রকার আয়না ও দেয়ালগিরি দেওয়ায় অতি আশ্চৰ্য্য শোভা হইয়াছে ! আটচালাখানির ভিতরটা রেল দিয়া বেষ্টন করা। রেলিঙের মধ্যে শ্রোতৃবর্গ গায় গায় হইয়া বসিয়া আছে। আটচালার চতুষ্পার্থে লোকগুলো কাতার দিয়া দাড়াইয়া গান শুনিতেছে। দেবগণ এক স্থানে দাড়াইলেন । র্তাহার দেখেন, কয়েকটা লোক ঢোল তবলা লইয়া বসিয়া আছে । এক ব্যক্তি দাড়াইয়া ছড় কাটাইতেছে ৪— “পুলকে গোলোকেশ্বর, নিক্ষেপ করিবেন শর, লঙ্কেশ্বর দেখে প্রাণ যায়। বসন গলে নয়ন জলে, পতিত হইয়া বলে, পতিতপাবন রামের পায় ॥ ওহে বিরিঞ্চি ধাঞ্ছিত ধন, করি নাই ওপদ সাধন, জ্ঞানধন মোর লয়ে ছিলে হরি ।” তোমাকে ভেবে বৈরঙ্গ, হলো দুঃখের তরঙ্গ, আজি নিদ্রাভঙ্গ হ’ল হরি ॥ مئی এত ব’লে দশানন কি বলিতেছেন ;– এই সময় দোয়ারের যন্ত্রের তার ঠিক করিয়া বসিয়াছিল—ই ই শব্দে সুর দিয়া গান ধরিল ৪—