কলিকাতা ዓ>ፃ অত্যন্ত স্নেহ করিতেন। ১৭৫৩ অব্দে হেষ্টিং সাহেব মুরশীদাবাদের অন্তর্গত কাশীমবাজারের কুঠিতে প্রেরিত হইলে নবকৃষ্ণকে সঙ্গে করিয়া লইয়া যান ইহার পর তিনি ৬০ টাকা বেতনে নবকৃষ্ণকে কোম্পানীর মুন্সীগিরি কাজ করিয়া দেন। তজ্জন্ত প্রথমে ইহঁার নবু মুন্সী নাম হয়। ইনি মুন্সীগিরি কার্য্যে এমন পারদর্শিতা লাভ করেন যে, সময়ে সময়ে ক্লাইভ সাহেব ইহঁাকে দুরূহ দৌত্যকার্য্যেরও ভার দিতেন। যে সময়ে সিরাজউদ্দৌলা কলিকাতা আক্রমণেচ্ছায় আসিয়া হালসীবাগানে উমিচাদের উদ্যানে শিবির ংস্থাপন করেন, মুন্সা নবকৃষ্ণ সন্ধিস্থাপনের বাসনায় উপঢৌকন সহ যাইয়৷ দুতের কার্যো করিয়াছিলেন। তিনিই আসিয়া নবাবের সৈন্তসংখ্যা কম বলায় ক্লাইব তৎপর দিন প্রত্যুষে আক্রমণ করেন। লর্ড ক্লাইবের এই বীরত্ব দর্শনে ভীত হইয়া নবাব সন্ধি স্থাপন করিয়াছিলেন । সিরাজউদৌল পলাশী সংগ্রামে পরাজিত হইলে তাহার যে ধনাগার লুণ্ঠন করা হয়, তাহাতে, দুই কোটী টাকার অধিক ছিল না। ঐ টাকা ক্লাইব প্রভৃতি বিভাগ করিয়া লন ; কিন্তু সিরাজের অন্তঃপুরে আর একটা যে গুপ্ত ধনাগার ছিল, তাহাতে স্বর্ণ ও রৌপ্যাদিতে প্রায় আট কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল। ঐ টাকা মীরজাফর, আমীর বেগ খাঁ, রামচাদ ও নবকৃষ্ণ বিভাগ করিয়া লইয়াছিলেন । এইরূপে নবকৃষ্ণ এক কালে প্রায় ক্রোর টাকা প্রাপ্ত হন । লর্ড ক্লাইব দ্বিতীয়বার ভারতবর্ষে আসিয়া নবকৃষ্ণের উপর মহারাজ বলবন্ত সিংহের সহিত কাশীর এবং সিতাব রায়ের সহিত বেহারের বন্দোবস্ত করিবার ভারার্পণ করিলে তিনি তাহাও অতি সুন্দররাপে সম্পন্ন করিয়াছিলেন । ইহাতে ক্লাইব সত্ত্বই হইয়া দিল্লির সম্রাটের নিকট হইতে প্রথমে নবকৃষ্ণের “রাজা বাহাদুর ও তৎপরে “মহারাজ বাহাদুর” উপাধি সনন্দ আনিয়া দেন এবং কোম্পানীর বাঙ্গাল, বেহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানীর রাজনৈতিক মুৎসুদি পদে অভিষিক্ত করেন । রাজা বাহাদুর উপাধির সনন্দ প্রদান সময় লাট সাহেব