৭২৬ দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ । ইনি ১২২৩ সালের ৫ই আশ্বিন জন্মগ্রহণ করেন। ইনি পৈতৃক বিষয় হইতে বড়বাজারে বাসনের দোকান ও অন্তান্ত অনেক দোকানের অংশীদার হইয়া বিস্তর আয় বৃদ্ধি করেন । ইনি ধনী হইয়৷ মনে মনে ভাবিতেন, জগদীশ্বর ধন দিয়াছেন পরোপকারের জন্য ; অতএব তিনি ক্রিয়া কৰ্ম্ম উপলক্ষে হাজার হাজার গরীবকে দান করিতেন। এমন দিন ছিল না যে, হাজার হাজার দরিদ্র এই দ্বারে বসিয়া অল্প প্রাপ্ত না হইয়াছে। ইনি একজন গোড়া হিন্দু ছিলেন। ইনি যাহা দান করিতেন, অতি গোপনে করিতেন । ইনি গরীব ছাত্রদিগের বেতন দিবার জন্ত মাসে ১৫°N টাকা ব্যয় করিতেন। কিন্তু গোপনে দান কারলেও ইহার সর্বত্র মুখ্যাতি ছিল । এমন কি ১৮৭৭ সালে দিল্লী দরবারে রাজপ্রতিনিধি লর্ড লিটন বাহাদুর ইহঁার দানের মুখ্যাতি করিয়াছিলেন। ইনি মৃত্যুর ৭৮ বৎসর পূৰ্ব্বেই বিষয়কৰ্ম্ম হইতে অবসর লন এবং দিবারাত্রি কেবল আহ্নিক, পূজা, শাস্ত্রপাঠ, হরিসংকীৰ্ত্তন করিয়া কাটান। ১২৯১ সালের ৭ই চৈত্র ইছার মৃত্যু হইয়াছে। ওদিকে দেখুন কৃষ্ণদাস পালের বাট । তাহার ওদিকে ঐ যে বাড়ী দেখা যাইতেছে, যাহাতে হিতৈষী প্রেস লেখা আছে, উহা গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাটী। গোপাল বাবু নৰ্ম্মাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন । উইার জন্মস্থান হালিসহর নামক স্থানে। গোপাল বাবুর অনেকগুলি পুস্তক আছে ; যথা—পাটীগণিত, পাটীগণিত-প্রবেশিকা, মানসাঙ্ক ১ম হইতে ষষ্ঠ পৰ্য্যন্ত , তদ্ভিন্ন ইংরাজী বাঙ্গালাতে আরও ৭৮ খানি পুস্তক হইবে । ইনি এক্ষণে মৃত । এখােন হইতে সকলে পালেদের বাড়ীর নিকটে উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন – “ইহঁার জাতিতে তেলি । কালীচরণ পাল বিষয় করেন। র্তাহার পুত্র রাধাচরণ পাল অত্যন্ত ধাৰ্ম্মিক ও পরোপকারী ছিলেন। র্তাহার পুত্র রাম