পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/৯৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬২ দেবগণের মর্ত্যে আগমন কৃষ্ণপান্তির উন্নতি দেখিয়া চৌধুরী এবং গবর্ণর জেনেরল হওঁ ময়রা পাল উপাধি প্রদান করেন। কৃষ্ণপাত্তির টাকার অনেকে বড় মানুষ হইয়াছে। রাণাঘাটে যত কোটা বাড়ী আছে, তাহার বার আনা কৃষ্ণপাত্তির কৃপায় হইয়াছে । ইনি কখনও মিথ্যা কথা কহিতুেন না এবং সকল কার্য্যেই আর্থিক লাভ অনুসন্ধান করিতেন। ইনি সাধারণের উপকারার্থে রাণাঘাটে একটি পুষ্করিণী ও মান্দ্রাজ দুর্ভিক্ষে তিন লক্ষ টাকার চাউল বিতরণ করেন । ১৮০৯ অব্দে ইহঁার মৃত্যু হয়। - ইন্দ্র । ট্রেণ এত বিলম্ব করতেছে কেন ? বরুণ। কল খারাপ হইয়াছে। ব্ৰহ্মা । তুমি রাণাঘাটের কাছে আর যে যে ভাল স্থান আছে, তাহাদের বিবরণ বল । বরুণ। রাণাঘাটের তিন চারি ক্রোশ দূরে শাস্তিপুর। এখানে নামিয়া ঘোড়ার গাড়িতে শান্তিপুর যাইতে হয়। শান্তিপুরে ধনপতি সদাগরের পুত্র শ্ৰীমন্ত বাণিজ্য করিতে আসিতেন। চৈতন্যদেবের প্রিয় শিষ্য অদ্বৈত ঐ স্থানে জন্মগ্রহণ করেন । শাস্তিপুর বহুসংখ্যক লোকপরিপূর্ণ একটা বাণিজ্যস্থান । ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর এই স্থানে বাণিজ্যাগার ছিল । মারকুইস ওয়েলেসলি মধ্যে মধ্যে এই স্থানে আসিয়া বাস করিতেন । শান্তিপুরের কাপড় বড় বিখ্যাত। ঐ স্থানে ১৩।১২ হাজার তাতি বাস করে । শান্তিপুরে অনেক গোসাই আছেন। তাহারা অদ্বৈতের বংশ । গোসাইদের একটা বিগ্রহ আছেন, তাহার নাম শু্যামসুন্দর । শান্তিপুরের প্রায় তিন ভাগ লোক বৈষ্ণব । শাস্তিপুরের স্ত্রীলোকের বড় লজ্জাহীন । শান্তিপুরের পরপারে গুপ্তিপাড়া। গুপ্তিপাড়ার লোকের স্বাভাবিক বেশ চালাক । পূৰ্ব্বে এই স্থানে বেশ রহস্ত আলাপ হইত। মাতালের মদ খাইয়া এক্ষণে ঐরূপ করিয়া থাকে। গ্রামট বানরের জন্য বিখ্যাত বানরের বড় উপদ্রব করে, এমন কি স্ত্রীলোকের কক্ষ হইতে জলের কলসী লইয়া ভাঙ্গিয়া দেয়।