জামালপুর “উহার ভিতরে প্রবেশ করতে হলে একখানি পাশের আবশ্যক। বিনা পাশে প্রবেশ করতে দেয় না। শনিবার দিন পাশ নিয়ে দেখবার হুকুম আছে। আমি ঐ দিন আপনাদিগকে একখানি পাশ এনে দিব।” বলিয়া কাশীবাবু প্রস্থান করিলেন । দেবগণ সে রাত্রিও অনেকক্ষণ পর্যন্ত জাগিয়া রছিলেন। ব্ৰহ্ম কহিলেন ; “দেখ উপ! তোর চাকরী হলে খুব সাবধানে থাকিস, কুসংসর্গে ভ্রমণ কি অসং বিষয়ের আলোচনা ভ্রমক্রমেও করিসনে। বেতনের টাকা পেলে স্থায্য খরচ বাদ যাহাতে কিছু বাঁচাতে পারিস, তাহার বিশেষ চেষ্টা করবি। শরীরের বিষয়ে খুব যত্ন রাখবি । লোকের আচার ব্যবহার দুষ্ট্রে বৃথা মাংস ভক্ষণ কিংবা অখাদ্য ভোজন কোনক্রমেই করিস নে ৷” প্রত্যুষে কাশীবাবু আসিয়া ডাকিলেন, “মহাশয়েরা কি জেগে আছে ?” ইন্দ্র। কে ওঁ, কাশীবাবু ? এত প্রত্যুষে যে ? কাশী। উপবাবুর কি কস-মাজ জানা আছে ? ইন্দ্র। কেন বলুন দেখি ? কাশী । মেজোবাবুর সম্বন্ধী এসেছেন, তিনিও এখানে চাকরী করবেন। কিছুক্ষণ পূৰ্ব্বে মেজোবাবু বলে পাঠিয়েছেন “অনেকগুলি প্রার্থী জুটায় অগত্যা পরীক্ষা করতে হবে। তোমার লোকটির যদি গণিত জানা থাকে, তবে যেন আসে, নচেৎ কষ্ট করে আসবার কোন আবশ্যক করে না।" উপ। আমি কিছুকিছু কসা-মাজ জানি । *আচ্ছা, যাবার সময় ডেকে নিয়ে যাব” বলিয়া কাশীবাবু প্রস্থান করিলেন। ক্রমে একটা ভোম—দুটো ভোমা বাজিয়া গেল ; দেখতে দেখতে লোকোমটিভের বাবুৱা চলিয়া গেলেন। তৎপরে কাশীনাথবাবু আফিসের সাজ পোষাক পরিধান করিয়া আসিয়া উপস্থিত হইলেন। এদিকে দেবগণ প্রস্তুত ছিলেন, কাশীবাবু উপস্থিত হইলেই উপকে সঙ্গে লইয়া সিদ্ধিদাতা গণেশের নামোচ্চারণ পূৰ্ব্বক বহির্গত হইলেন । - কিছু দূরে যাইয়া কাশীবাবু কহিলেন “সম্মুখে দেখা যাচ্চে-লোকেমিটিভ আফিস । ঐ স্থানের উপরে ও নীচে ছুই তিনটি আফিস আছে । ঐ যে গেট দেখিতেছেন, উহারই ভিতর দিয়া ওয়ার্কসপে যাইতে হয়।” এখান হইতে কিছু ३ ● १
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/১৯৭
অবয়ব