পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন (র‍্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট সংস্করণ).djvu/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগলপুর কল আসিয়া গাড়িতে লাগিল । বরুণ কহিলেন, “সকলে পিতামহকে বেষ্টৰ করিয়া ধরিয়া বসিয়া থাক । কারণ, গাড়ি যাইবার সময় কখন নিয়ে নামিবে, কখন উর্ধ্বে উঠিবে ; অতএব সেই সময় উনি না হঠাৎ পতিত হইয়া গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন।” এই কথায় সম্মত হইয়া দেবগণ পিতামহকে ধরিয়া বসিলেন। গাড়িও গজেন্দ্র গমনে “ঘ্যাচাং’, ‘ধ্যাচাৎ", "ঘ্যাচাং” শত্ব করিতে করিতে চলিতে আরম্ভ করিল । নারায়ণ হাস্ত করিয়া কহিলেন, “বরুণ ! এ গাড়ি ঘুটের জালে চলে ?” কিছু দূরে যাইলে উপ কহিল, “রাজাকাকা, আমার বড় পেটের পীড়া হয়েছে । আর থাকতে পরিচি নে ৷” নারা । আস্তে আস্তে নেমে—পারিস তো ছুটে গিয়ে মুখ হাত ধুয়ে আয়। গাড়ি যেরূপ ধীরে ধীরে যাচ্ছে, আবার দৌড়ে এসে উঠতে পারবিনে ? বরুণ। না, ছেলেমানুষ যদি আবার উঠতে না পারে । তুই বাবা, একটু কষ্ট সহ ক’রে থাক। মধ্যে এক স্থানে মুখ হাত ধোবার জন্য গাড়ি থামাইয় থাকে । ক্রমে গাড়ি নির্ধারিত স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইল। তখন গাণ্ড চীৎকার স্বরে বলিতে লাগিল—“যাত্রির কেহ মুখ হাত ধুইবার ইচ্ছা করিলে নামিতে পার ” উপ এবং আর কতকগুলি যাত্রী এই কথায় নামিয়া ছুটাছুটি করিয়া মূখহাত ধুইতে যাইল। কিয়ৎক্ষণ পরে গাড় আবার কহিল, “শীঘ্র এস, গাড়ি ছাড়িবার সময় হইয়াছে।” তখন উপ এবং অপরাপর যাত্রীরা ছুটিয়া আসিয়া ট্রেনে উঠিলে ট্রেন আবার পূর্বের ন্তায় শব্দ করিয়া চলিতে আরম্ভ করিল এবং যথাসময়ে আজিমগঞ্জে আসিয়া উপস্থিত হইল । ३१ *