পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামাতার জুলুম হুইয়াছিলাম, দুটি কন্যারত্ন কোলে লইয়া আমার সতী সাধবী পরিবারও সহগামিনী হইয়াছিলেন । শ্বশুর মহাশয় অপুত্ৰক ছিলেন আমার আপনি শাশুরী কয়েকমাস আগেই দেহত্যাগ করিয়াছিলেন । ঠিক সেই সময় একটা ভদ্রলোক শ্বশুর মহাশয়ের বাসায় অতিথি হইয়া আমার সবিশেষ খাতির যত্ন লক্ষ্য করিয়া নবীনবাবুকে ( আমার শ্বশুর মহাশয়ের মামাশ্বশুর ) আমার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন, নবীনবাবু আমাকে শুনাইয়া একটু মুচকি হাসিয়া বলিয়াছিলেন—“ইনি যাদববাবুর গৃহপালিত”--আমি আর নীরব থাকিতে পারিলামনা-একলাফে নবীনবাবুর নিকটে আসিয়া তেমনি হাসিয়া উচ্চকণ্ঠে বলিয়া ফেলিয়াছিলাম “আজ্ঞে হঁ মহাশয় এ দীন যাদববাবুর গৃহপালিত অনেকগুলি জীবের মধ্যে একটী নগণ্য জীব”--শুনিয়া নবীনবাবু এবং আগন্তুক ভদ্রলোক উচ্চহাস্তে কোঠা বঁটাপাইয়া তুলিয়াছিলেন-আমারও তখন হাসিবারই পালা ছিল, আমি প্ৰাণ খুলিয়া সেই হাসির তরঙ্গ বৃদ্ধি করিয়া তুলিয়াছিলাম। ‘মনে যখন সুখ থাকে, প্ৰাণের মধ্যে যখন আনন্দের দক্ষিণা বাতাস নন্দনের পারিজাতের গন্ধ মাথায় করিয়া বহিয়া যায়, তখন যত বড় দুঃখই আসুক না কেন, ‘হঠযাও’ বলিয়া গলাধাক্কা দেওয়া বেশী কঠিন হয়না, গ্লানি নিন্দ বা আত্মাবমাননা নৈরাশ্যের অবস্থায় যেমন খুটিয়া খুটিয়া বাহির করিতে প্ৰবৃত্তি হয় এবং তাঁহাদের এতটুকু ভারও যেমন পর্বতের বোঝা বলিয়াই মনে হইয়া থাকে, আশা ও উৎসাহের মদিরামত্ত হৃদয়ে কিন্তু সে সকল গ্লানি নিন্দ বা অমৰ্য্যাদার e RR