পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামাতার জুলুম মোটরে চাপিয়া বসিলাম। হন হন করিয়া ফিরিবার মোড়ে আসিয়া : মোটর খান উল্টাইয়া যায়। তিনদিন বাদে চোখ মেলিয়া দেখিলাম। চিন্ময়ীর চোখের জলে আমার অৰ্দ্ধেক শরীর ভিজা। দুরে শ্বশুর। মহাশয় খাতাপত্ৰ লইয়া ব্যস্ত। পাওনাদারগণ বাহিরের ঘরে খাতাপত্ৰ লইয়া হাজির। আর বন্ধুত্ৰয় নিরুদ্দেশ্য। “দুৰ্গ বলিয়া পাশ ফিরিয়া সেই যে শুইয়াছিলাম, আর এই পীরগঞ্জে পৌছিয়া চোখমেলিয়া চাহিয়াছিলাম। কিন্তু তখন আমার দেহ দুর্বল থাকিলেও জ্ঞান ছিল, কথাবাৰ্ত্তাও বুঝিতে পারিতাম, চিন্তা ও একটু করিতে পারিতাম ! সুতরাং বুঝিতে পারিতেছিলাম সতর্কতা ও ব্যবসাবুদ্ধির অভাবে নিজের সর্বনাশ নিজে করিয়া আজ এই নৈরাশ্র্যময় জীবনের দীর্ঘশ্বাসগুলি গণিয়া গণিয়া হয়রান হইতেছি । এই হয়রানির শেষ কোথায়, পরিণামই বা কি তাহা কে বলিবে ? উচ্চাকাঙ্ক্ষার দুৰ্দমনীয় বেগ নৈরাশ্যকে যখন ঠেলিয়া দিয়া আমাকে নাকে দড়ি লাগাইয়া টানিতে থাকে তখন আমি দেশকাল পাত্ৰ সমস্ত বিশ্বত হইয়া কেবলম্মুখের দিকেই ছুটিতে থাকি, কাঁটাবন, গৰ্ত্ত কোন কিছুরই দিকে তাকাইবার অবকাশ থাকে না। আমি কেবলই ছুটিতে থাকি, সংযমের শৃঙ্খলা রক্ষা করা হইয়া উঠে না, এমনি আমার চিত্তগত ভাবের বিপ্লব। জানিনা, সে কোথা কোন অচিন্তিত অবস্থায় আমাকে লইয়া যাইয়া একদিন টুটি টিপিয়া খুন করিয়া ফেলিবে । LC see lis), づか ) ( aاید

  • >トーイ*/