পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জামাতার জুলুম না । সত্যই কি তাই ? কে জানে ! তবে অবশ্য অনেকটা নৈরা প্রকাশ করিতে কখনো কসুর করি নাই। আমার মামাশ্বগুণ্ঠ নবীন বাবুর গোপন ইঙ্গিতের ফলেই হৌক বা আমার স্পষ্ট জবাবের অভাবেই হৌক তথা কথিত উমেদারগণ কিন্তু আমার গৃহত্যাগ করিতে ছিলেন না। এ সকল দেখিয়া শুনিয়া আমার জামাইটী যেন ক্ষিপ্তপ্ৰায় হইতেছিলেন সেই সংবাদও আমার বন্ধুবর্গের অবিদিত ছিল না। শুনিলাম একদিন নবীনবাবু জামাইটকে কাছে ডাকিয়া কহিলেন, “দাদাবাবু একটা কাজ করলে হয় না ?--দিদিমণি বাবার আবার বিবাহ দেওয়ার কথা আমায় বলেছিলেন, আপাততঃ সেই কাজটা বন্ধ রাখলে ক্ষতি কি ? দিদিমণির বর্তমান গর্ভে যদি সুসন্তান হয় তবে আর ও সব হাঙ্গামে দরকার কি ভাই’ ? আমি অপর কোঠা হইতে উৎকৰ্ণ হইয়া শুনিতেছিলাম। বাবাজি কি বলেন ? বাবাজি বিশেষ কিছু না বলিয়া একটু হাসিলেন, একটা দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে মুখ হইতে হঠাৎ বাহির হইয়া গেল। ‘ওর আবার সুসস্তান। অনেক সময় দেখা যায়, কেঁচাে খুড়িতে সাপ উঠিয়া থাকে, “দরদ” লইয়া খেলা করিতে গেলেও রক্তপাত হওয়া অসম্ভব নহে, মিথ্যা লইয়া নাড়া চাড়া করিতে যাইয়া ছাই চাপ সত্যের আবিষ্কার হইতেও দেখা না যায় এমন নহে। নবীনবাবু নাত জামাইয়ের সঙ্গে নাতিনীর একটা কলহ লােগাইয়া দিয়া দু একদিন একটু মজা দেখিবার মতলবে এই বেমালুম মিথ্যা অভিযোগটী অামার মেয়ের উপর আরোপ করিয়াছিলেন সন্দেহ নাই, S8S