পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতার দান -ܨssܡ– বৃদ্ধ একটু হাসিয়া দীর্ঘশ্বাস টানিয়া লইয়া আস্তে আস্তে ত্যাগ করিলেন। “এখনো জর আছে কি মা ? মাথা ধরাটা ?”-বুদ্ধা কহি, লেন “সবই আছে গোপাল ! খালি বেঁচে থাকবার প্রবল আকাজক্ষাটা নেই, যেটা ধ্বংশের সঙ্গে লড়াই করবার জন্য শেষ মুহুৰ্ত্ত পৰ্যন্ত একটা অশান্তি জাগিয়ে রাখে। গােপাল, আমি যাচ্ছি!” বৃদ্ধ চক্ষু মুদিলেন। রাম গোপাল বাবু অনেকক্ষণ নীরব রহিলেন বৃদ্ধাও নীরবে দুই বিন্দু অশ্রত্যাগ করিলেন, কিছুক্ষণ পরে বৃদ্ধা একটু হাসিয়া রাম গোপাল বাবুর মুখের দিকে তাকাইয়া কহিলেন, “গোপাল, আমায় কিছু বলবে কি ?-“সেত আপনার অজ্ঞাত নর মা ! আমার জিজ্ঞাস্য-” বৃদ্ধ বাধা দিয়া বলিলেন “গোপাল ! কৰ্ত্তার শ্রাদ্ধে আমার চাকুরে ছেলেদের টাকা আমি ইচ্ছা করেই খরচ করিনি, এর পরিণামে যে আমার সংসার ভাঙ্গবে সে বুদ্ধিও আমার তখনই হয়েছিল। বলতে কি গোপাল, আমার এমন ংসার ভেঙ্গে যাওয়াই বোধ হয় কৰ্ত্তার অভিপ্ৰেত। সে কথা পরে হবে বাবা,-বল দেখি গোপাল, সরকারি কাণ্ডুের অছিলায়, বারা পিতার শ্ৰাদ্ধ বাধা করতে কুষ্ঠিত নয়, অথচ নক্‌রি করে শ্ৰাদ্ধের টাকা পাঠিয়ে দিয়ে কৰ্ত্তব্য শেষ হয়েছে বলে মনে কর্তে পারে তেমন ছেলের টাকায় তোমাদের কৰ্ত্তার শ্ৰাদ্ধ সিদ্ধ হবে বলে কখনো মনে করতে পার কি ? তারা রোজগার করছে স্ত্রী পুত্ৰ সুখে থাকবে, তাদের স্ত্রীপুত্রের মুখের গ্রাস কেড়ে খেতে আমি কাউকে দেবনা গোপাল, নেত্যকেও নয়, কেষ্টকেও নয়" ; বৃদ্ধ Rbr