পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতার দান উইলের কোনও প্রকার ব্যতিক্রম করা আবশ্যক বোধ করেন, তবে আমার মৃত্যুর পরে তাহাও আমারই কৃত নিয়ম বলিয়া বলবৎ *|*ा श्शेर्दै ।”- রামবাবু চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিলেন,-“যথেষ্ট হয়েছে গোপালদা, যথেষ্ট হয়েছে-একটা মেয়েমানুষের বুদ্ধির কাছে আমরা হেরে গেলুম।—যদিও আর একটা এমনি মেয়ে মানুষ এমনি বুদ্ধি লয়ে আমাদের সতর্ক করে দিতে চেষ্টা করছিল,- কিন্তু মেজদার গাফিলিতে আমরা চোখ চেয়ে একবার দেখতে পেলুম না-ব্যাপারটা কি ?-এখন আর ও শুনেকি হবে? পৈতৃক বিষয়, বাস্তুভিটা। এ সকল থেকে বঞ্চিত হয়ে শু্যাল কুকুরের মত রোজ কামাই করে রোজ খেতে হবে ! ধিক৷ ” জয়কালী বাবুর মুখের দিকে এমনি একটা বিরক্তিপূর্ণ কটাক্ষপাত করিয়া রাস্তবাবু কথাগুলির পরিসমাপ্তি করিলেন যে শুনিয়া শুনিয়া তাহারও ধৈৰ্য্য লুপ্ত হইয়া গেল !-তিনি একটা দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়া কহিলেন,-“এতটা হবে জানতুম না”-নৃত্যকালী একটু লজ্জিতী হইয়া কহিলেন,-“বাবা কি একটা উইল করে গেছেন এই মাত্ৰই জানি, এর বিন্দুবিসর্গও আমি জানতুম না।” রামবাবু কহিলেন,-“আপনি নাও জানতে পারেন, জানলে এতটা সুবিধা নিজের পক্ষে নাও হতে পারত ! আমাদেরই বরাত মন্দ ! — মেজদা, এখন কি করবেন ?-পৈতৃক বিষন্ন, বাস্তু ভিটা, মা’র গহনা, নগল, এ সব থেকেইত বঞ্চিত হলুম এখন রাস্তা দেখতে হয় !”- VS)