পাতা:দেবতার দান - জলধর সেন.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতার দান -§- জড়াইয়া ধরিয়া অশ্রত্যাগ করিতেছিলেন। বিন্ধ্য এ সকল কথার মধ্যে ছিল না, সে মালা গাঁথিতেছিল। আর গুণ গুণ করিয়া সেই শতবার গাওয়া গানের আবৃত্তি করিতেছিল-“আমি কি দুখেরে ऊब्रछे” !-- দেখিতে দেখিতে জয়বাবু রামবাবু ও নৃত্যকালী ভট্টাচাৰ্য্য রামগোপালবাবুকে নিয়া “ঠাকুরের আঙ্গিনায় প্ৰবেশ করিলেন, সকলে ঠাকুর প্রণাম করিয়া মাটিতে বসিলেন, বড়বীে পুত্রকে বাহুমুক্ত করিয়া একটু ঘোমটা টানিয়া এক পাশে সরিয়া দাড়াইলেন।-রাম বাবু বালকের কথায় অনেকটা আমাশ্বস্ত হইয়া একটু উদ্যোগী হইয়াই আসিলেন, জয়বাবু, ব্যাপারটার কঠোরতা ক্রমশঃ ৰাড়িয়া চলিয়াছে দেখিয়া একটু শান্তির আশায় ঠাকুরের আঙ্গিনায় সহজেই আসিলেন,-নৃত্যকালী আসিলেন একরূপূহতবুদ্ধি হইয়া। নৃত্যকালী চিরকালই শান্তিপ্ৰিয় ছিলেন এখনো যাহাতে বিষয়টা সহজে মিটিয়া যায় তিনি সেই কামনাই করিতে ছিলেন, কিন্তু নিজের বুদ্ধির স্থূলতা নিবন্ধন স্ত্রী পুত্রের মুনাভাব ধারণা করিয়া উঠিতে পারিতেছিলেন না, তিনি আশঙ্কা করিতেছিলেন, প্ৰাপ্তটাকা ও সম্পত্তির এক কপর্দক ত্যাগ করিলেও যদি স্ত্রী পুত্ৰ বিরক্ত হয় ! তাহারা কি এই দুঃসময়ের ভরসা। টাকাগুলি এক কথায় ছাড়িয়া দিতে চাহিবে ? এই যে বিন্ধ্য এত বড়টী হইয়াছে মা বলিয়া গিয়াছেন, তিন মাস মধ্যেই অপকৰ্ষ করিয়া তাহার বিবাহ দিতে হইবে, এই তিন মাসের মধ্যে খাজিয়া বর আনিতে Գ o