পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । এমন অনেকে থাকতে পারে, যারা কেবল অদ্বৈতবাদের সাহায্যেই সেই অবস্থায় যাবে। অদ্বৈতবাদ যে অবস্থায় নিয়ে যায়, কৰ্ম্ম ও উপাসনাও সেই অবস্থাতেই নিয়ে যায়। শাস্ত্ৰ ব্ৰহ্ম সম্বন্ধে কিছু শিক্ষা দিতে পারে না, কেবল অজ্ঞান দূত্র করে দিতে পারে । তাদের কার্য্য নাশাত্মক ( negative ) { শঙ্করের প্রধান কৃতিত্ব হচ্ছে এই যে, তিনি শাস্ত্ৰও মেনেছিলেন, অথচ সকলের সামনে মুক্তির পথও খুলে দিয়েছিলেন । কিন্তু যাই বল, তাঁকে ঐ নিয়ে চুলচেরা বিচার করতে হয়েছে। প্ৰথমে মানুষকে একটা স্কুল আলম্বন দাও, তার পর ধীরে ধীরে তাকে সর্বোচ্চ অবস্থায় নিয়ে যাও । বিভিন্ন প্রকার ধৰ্ম্ম এই চেষ্টাই করছে, আর এ থেকে বুঝা যায়-কেন। ঐ সকল ধৰ্ম্ম জগতে এখনও রয়েছে এবং কি করে প্রত্যেকটাই মানুষের উন্নতির কোন না কোন অবস্থায় উপযোগী । শাস্ত্ৰ যে অবিদ্যা দূর করতে প্ৰবৃত্ত হয়েছে, সে নিজেই যে সেই অবিদ্যার অন্তৰ্গত। শাস্ত্রের কাৰ্য্য হচ্ছে জ্ঞানের উপর যে অজ্ঞানরূপ আবরণ এসে পড়েছে, তাকে দূর করা। “সত্য অসত্যকে দূর করে দেবে।” তুমি মুক্তই আছ, তোমাকে আবার কিসে মুক্ত করে দেবে ? যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত তুমি ধৰ্ম্মমতবিশেষ অবলম্বন করে আছ, ততক্ষণ তুমি ব্ৰহ্মকে লাভ করেনি। “যিনি মনে করেন, আমি জানি, তিনি জানেন না।” যিনি স্বয়ং জ্ঞাতস্বরূপ, তীকে কে জানতে পারে ? দুটী বস্তু আছে-ব্ৰহ্ম ও জগৎ । তন্মধ্যে ব্ৰহ্ম অপরিণামী, জগৎ পরিণামী । জগৎ, অনন্তকাল ধরে রয়েছে। “তোমরা অনন্ত ত তাকেই বলে থাক, যেখানে তোমাদের মন কত পরিমাশে পরিণাম ies. '