পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । দৰ্শন-স্ব জ্ঞানের একমাত্র ভিত্তি--তারই উপর প্রেতিষ্ঠিত । মন যখন জ্ঞানেরও অতীত ভূমিতে চলে যায়, তখন সে যথার্থ বস্তু, যথার্থ বিষয়কেই উপলব্ধি করে । আপ্ত তাদের বলে, যারা ধৰ্ম্মকে প্রত্যক্ষ করেছেন । তঁরা যে উপলব্ধি করেছেন, তার প্রমাণ এই যে, তুমিও যদি তাদের প্রণালী অনুসরণ করা, তুমিও দেখবে । প্রত্যেক বিজ্ঞানেরই বিশেষ বিশেষ প্ৰণালী ও বিশেষ বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন । একজন জ্যোতিষী রান্নাঘরের সমস্ত হাঁড়িকুড়ির সাহায্য নিয়ে শনিগ্রহের বলয়গুলি দেখাতে পারে না-দেখাতে হলে দূরবীক্ষণ যন্ধের দরকার। সেইরূপ ধৰ্ম্মের মহান সত্যসমূহ দেখতে হলে, যারা পূর্বেই সেগুলি প্ৰত্যক্ষ করেছেন, তাদের উপদিষ্ট প্রণালীগুলির অনুসরণ করতে হবে । যে বিজ্ঞান যত বড়, তার শিক্ষা করবার উপায়ও তাত নানাধিপ। আমরা সংসারে আস্থার পূর্বেই ভগবান এ থেকে বেরুবার উপায়ও করে রেখেছেন। সুতরাং আমাদের চাই শুধু সেই উপায়টাকে জানা । তবে বিভিন্ন প্ৰণালী নিয়ে মারামাল্লি করো না । কেবল যাতে তোমার অপরোক্ষানুভূতি হয়, তার চেষ্টা কর, আর যে সাধনপ্রণালী তোমার পক্ষে সব চেয়ে উপযোগী হয়, তাই অবলম্বন কর । তুমি আমি খেয়ে যাও, অপারে ঝুড়িটা নিয়ে মারামারি করে মরুক। খ্ৰীষ্টকে দর্শন কর—তবেই তুমি যথার্থ খ্ৰীষ্টান হবে। আর সবই বাজে কথা মাত্ৰ-আর কথা যত কম হয় ততই ভাল। যার জগতে কিছু বাৰ্ত্তী বহন করবার বা শিক্ষণ দেবার থাকে, তাকেই বার্তাবহ বা দূত বলা যেতে পারে-দেবতা থাকলেই তবে তাঁকে মন্দির বলা যেতে পারে । এর বিপরীতটা সত্য নয় । > d R.