পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Cन दसो । ২৭শে জুলাই, শনিবার। ( কঠোপনিষৎ ) অপরোক্ষানুভূতিসম্পন্ন ব্যক্তি ব্যতীত অপর কারও কাছে আত্মতত্ত্ব শিক্ষণ করতে ষেও না । অপরের কাছে তা কেবল কথার কথা মাত্ৰ । প্রত্যক্ষানুভূতি হলে মানুষ ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম, ভূত ভবিষ্যৎ, সর্বপ্রকার দ্বন্দ্বের পারে চলে যায় । নিষ্কাম ব্যক্তি সেই আত্মাকে দর্শন করেন, আর তঁর আত্মার শাশ্বতী শাস্তি এসে থাকে । মুখে বলা, বিচার, শাস্ত্ৰপাঠ ও বুদ্ধির চূড়ান্ত পরিচালনা করা, এমন কি, বেদ পৰ্যন্ত-এ সকল কিছুই মানুষকে সেই আত্মজ্ঞান দিতে পারে না । আমাদের ভিতর জীবাত্মা পরমাত্মা দুইই আছেন । জ্ঞানীরা জীবাত্মাকে ছায়াস্বরূপ, আর পরমাত্মাকে যথার্থ সূৰ্য্যস্বরূপ বলে verist আমরা যদি মনটাকে ইন্দ্রিরগুলির সঙ্গে সংযুক্ত না করি, তাহলে আমরা চক্ষু, কৰ্ণ, নাসিক প্রভৃতি ইন্দ্ৰিয় দ্বারা কোন জ্ঞানই লাভ করতে পারি না । মন এই বহিরিান্দ্ৰিয় গুলিকে ব্যবহার করে থাকে । ইন্দ্ৰিয়গুলিকে বাইরে যেতে দি ও না- তা হলে দেহ এবং বহির্জগৎ এই উভয়েরই হাত এড়াবে । এই যে অজ্ঞাত বস্তুটাকে আমরা বহিৰ্জগৎ বলে দেখছি, মৃত্যুর পর নিজ নিজ মনের অবস্থানুসারে একেই কেহ স্বৰ্গ, কেহ বা নরক বলে দেখে । ইহঁলোক পরলোক-এ দুটোই স্বপ্নমাত্র, শেষোক্তটা আবার প্রথমটার ছাচে গড় । ঐ দুই প্রকার স্বপ্ন থেকেই মুক্ত হও, জান- সবই সৰ্ব্বব্যাপী, সবই বৰ্ত্তমান । প্রকৃতি, দেহ ও মনেরই মৃত্যু হয়, আমাদের মৃত্যু হয় না ; আমরা যাইও না, আসিও না। এই >决之 参