পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । ২৮শে জুলাই, রবিবার। ( দত্তাত্ৰেয় কৃত অবধূত-গীত ) “মনের স্থিরতার উপর সমুদয় জ্ঞান নির্ভর করছে।” “যিনি সমগ্র জগৎপ্ৰপঞ্চে পুর্ণভাবে বিরাজ করছেন, যিনি আত্মার মধ্যে আত্মাস্বরূপ, তাকে আমি নমস্কার করি কিরূপে ?” আত্মাকে আমার নিজের স্বভাব, নিজের স্বরূপ বলে জানাই পুর্ণ জ্ঞান এবং প্রত্যক্ষানুভূতি । “আমিই তিনি, এ বিষয়ে কিছুমাত্ৰ সংশয় নেই ।” “কোন চিন্তা, কোন বাক্য বা কোন কাৰ্য্যই আমার বন্ধন উৎপাদন করতে পারে না । আমি ইন্দ্ৰিয়াৰীত, আমি চিদানন্দস্বরূপ ।” অস্তি নাস্তি কিছুই নেই, সবই আত্মাস্বরূপ । সমুদয় আপেক্ষিক ভাব, সমুদয় দ্বন্দ্ব দূর করে দাও, সব কুসংস্কার ঝেড়ে ফেল, জাতি, কুল, দেবতা, আপ্ন যা কিছু, সৰ্প চলে যাকৃ। থাকা, হওয়া-এ সবের কথা কেন কাও ? দ্বিত অদ্বৈত এ সমুদয় কথা ছেড়ে দাও । তুমি দুই ছিলে কবে যে, দ্বৈত ও অদ্বৈতের কথা বলছি ? এই জগৎপ্ৰপঞ্চ সেই শুদ্ধবুদ্ধস্বভাব ব্ৰহ্মমাত্র, তিনি ছাড়া আর কিছু নয়। যোগের দ্বারা বিশুদ্ধি লাভ হবে, এ কথা বলে না।--তুমি স্বয়ং যে শুদ্ধস্বভাব । তোমায় কেউ শিক্ষণ দিতে পারে না ! যিনি এই গীতা লিখেছেন, তার মত লোকই ধৰ্ম্মটাকে জীবন্ত রেখেছেন । তঁরা বাস্তবিকই সেই ব্ৰহ্মস্বরূপ সাক্ষাৎকার করেছেন । তঁরা কোন কিছুর তোয়াক্কা রাখেন না, শরীরের সুখদুঃখ গ্ৰাহ করেন না, শীত উষ্ণ বা বিপদাপদ বা অন্য কিছু মোটেই গ্ৰাহ করেন। না । জ্বলন্ত অঙ্গার তঁদের দেহকে দগ্ধ করতে থাকলেও তারা > R