পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । দুরকম সমাধি আছে-এক রকম হচ্ছে সবিকল্প-এতে একটু দ্বৈতের আভাস থাকে । আর এক রকম হচ্ছে নির্বিকল্প। —ধ্যানের দ্বারা জ্ঞাতা-জ্ঞেয়ের অভেদ হয়ে যায় । প্ৰত্যেক বিশেষ বিশেষ ভাবের সঙ্গে তোমাকে সহানুভূতিসম্পন্ন হতে শিক্ষা করতে হবে, তার পর একেবারে উচ্চতম অদ্বৈতভাবে লাফিয়ে যেতে হবে। নিজে সম্পূর্ণ মুক্ত অবস্থা লাভ করে তুমি ইচ্ছা! করে আপনাকে আবার সীমাবদ্ধ করতে পার । প্ৰত্যেক কাজে নিজের সমুদয় শক্তি প্ৰয়োগ কর । খানিকক্ষণের জন্য অদ্বৈতভাব ভুলে দ্বৈতবাদী হবার শক্তি লাভ করতে হবে, আবার যখন খুসি যেন ঐ অদ্বৈতভােব আশ্রয় করতে পারা যায় । 米 菁 কাৰ্য্যকারণ সব মায়া, আর আমরা যত বড় হব, ততই বুঝব যে, ছোট ছেলেদের পরীর গল্প যেমন আমাদের কাছে বোধ হয়, তেমনি যা কিছু আমরা দেখছি, সবই ঐক্লপ অসংবদ্ধ। প্রকৃতপক্ষে কাৰ্য্যকারণ বলে কিছু নেই, আর আমরা কালে তা জানতে পারব। সুতরাং যদি পাের ত, যখন কোন রূপক গল্প শুনবে, তখন তোমার বুদ্ধিবৃত্তিকে একটু নামিয়ে এনে, মনে মনে ঐ গল্পের পূর্বাপর সঙ্গতির বিষয় প্রশ্ন তুলো না । হৃদয়ে রূপক বৰ্ণনা ও সুন্দর কবিত্বের প্রতি অনুরাগের বিকাশ কর, তার পর সমুদয় পৌরাণিক বৰ্ণনাগুলিকে কবিত্ব হিসাবে উপভোগ কর। পুরাণচর্চার সময় ইতিহাস ও বিচারের দৃষ্টি নিয়ে এসে না। ঐ সব পৌরাণিক ভাবগুলি তোমার মনের ভিতর দিয়ে প্ৰবাহাকারে চলে যাক ! তোমার চোখের সামনে তাকে মশালের মত 68