আমেরিকায় স্বামিজী । অবিশ্রান্ত উচ্চ উচ্চ অনুভূতি লাভ করা। প্ৰাতঃকাল হইতে রাত্রি পৰ্যন্ত সেই একই ভাব—আমরা এক ঘনীভূত ধৰ্ম্মভাবের রাজ্যে বায়ু, করিতাম। স্বামিজী মধ্যে মধ্যে বালকের ন্যায় ক্রীড়াশীল ও কৌতুকপ্রিয় হইলেও, এবং সোল্লাসে পরিহাস করিতে ও কথার চােটপাট জবাব দিতে অভ্যস্ত থাকিলেও, কখন মুহূৰ্ত্তের জন্য, তাহার জীবনের মূলমন্ত্র হইতে লক্ষ্যভ্রষ্ট হইতেন না। প্রতি জিনিসটা হইতেই তিনি কিছু না কিছু বলিবার অথবা উদাহরণ দিবার বিষয় পাইতেন, এবং এক মুহুর্তে তিনি আমাদিগকে কৌতুকজনক হিন্দু পৌরাণিক গল্প হইতে একেবারে গভীর দশনের মধ্যে লইয়া যাইতেন। স্বামিজীী পৌরাণিক গল্পসমূহের অফুরন্ত ভাণ্ডার ছিলেন, আর প্রকৃতপক্ষে এই প্রাচীন আৰ্যগণ অপেক্ষা কোন জাতির মধ্যেই এত অধিক পরিমাণে পৌরাণিক গল্পের প্রচলন নাই। তিনি আমাদিগকে ঐ সকল গল্প শুনাইয়া গ্ৰীতি অনুভব করিতেন এবং আমরাও শুনিতে ভালবাসিতাম ; কারণ, তিনি কখনও এই সকল গল্পের অন্তরালে যে সত্য নিহিত আছে, তাহা দেখাইরা দিতে এবং উহা হইতে মূল্যবান ধৰ্ম্মবিষয়ক উপদেশ আবিষ্কার করিয়া দিতে বিস্মৃত হইতেন না । কোন ভাগ্যবান ছাত্রমণ্ডলী ঐক্লপ প্রতিভাবান আচাৰ্য্যলাভে আপনাদিগকে ধন্ত জ্ঞান করিবার এমন সুযোগ পাইয়াছিলীেন কি না, সন্দেহ। আশ্চৰ্য্য কাকতালীয় ঠায়ে ঠিক দ্বাদশ জন ছাত্রী ও ছাত্র “থাওজ্যাণ্ড আইল্যাণ্ড পার্কে” স্বামিজীর অনুগমন করিয়াছিলেন, এবং তিনি আমাদিগকে বলিয়াছিলেন যে, তিনি আমাদিগকে প্ৰকৃত শিশ্যপ্রাপে গ্ৰহণ করিয়াছেন ; এবং সেই জন্যই তিনি আমাদিগকে এরূপ O V3