পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আচাৰ্য্যদেব । ਸ਼ পরাকাষ্ঠী বৰ্ণনা করিয়া একটী অতি চিত্তগ্ৰাহিণী বক্ততা দিয়াছেন, পরীক্ষণেই দেখিলাম, তিনি সিড়ির নীচে দাড়াইয়া আছেন। তাঁহার মুখ দেখিয়া বোধ হইল, যেন তিনি একটা কিছু ভাবিয়া কিনারা করিতে না পারিয়া হতভম্ব হইয়াছেন । লোকে উপর নীচে যাতায়াত করিতেছে-কেহ গাত্রবস্ত্ৰ আনিবার জন্য, কেহ অন্য কিছুর জন্য । সহসা তঁহার আনন। উৎফুর হইয়া উঠিল । তিনি বলিয়া উঠিলেন, “বুঝিয়াছি ! উপরে উঠিলার সময় পুরুষেরা স্ত্রীলোকের আগে” যায় ; আর নীচে নামিবার সময় স্ত্রীলোক পুরুষের আগে আসে। নয় কি ?” তাহার প্রাচ্য শিক্ষাদীক্ষার ফলস্বরূপ তিনি আচারমর্য্যাদা-লতঘনকে আতিথ্যেরই নিয়ম ভঙ্গ বলিয়া জ্ঞান করিতেন । যাহারা তাহার জীবনের সঙ্কল্পিত কাৰ্য্যগুলিতে যোগদান করিতে ইচ্ছক। তঁহাদিগের কথাপ্রসঙ্গে একদিন তিনি ‘আমাকে বলিলেন যে, তাহদের শুদ্ধসত্ত্ব হওয়া একান্ত অবশ্যক । একজন শিষ্যা সম্বন্ধে তিনি অনেক আশা পোষণ করিতেন । তাহার মধ্যে ভাবী ত্যাগবৈরাগ্যের বিশিষ্ট পরিচয় তিনি নিশ্চয়ই পাইয়া থাকিবেন। একদিন তিনি আমাকে একাকী পাইয়া, তিনি কিরূপ জীবন যাপন করেন ও কিরূপ লোকের সঙ্গে মিশেন ইত্যাদি বিষয়ে অনেক প্রশ্ন করিলেন, এবং আমি সে সকলগুলিরই উত্তর দিবার পর তিনি আমার দিকে অন্তি আগ্ৰহান্বিতভাবে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আর তিনি খুব শুদ্ধসত্ত্ব, না ?” আমি শুধু বলিলাম, “হা, স্বামিজী, সম্পূর্ণরূপে শুদ্ধসত্ত্বক” তাহার মুখমণ্ডল প্ৰদীপ্ত হইয়া উঠিল, তাহার চক্ষু হইতে দিব্যজ্যোতিঃ • নির্গত হইতে লাগিল, তিনি সোৎসাহে বলিলেন, “আমি ইহা জানিতাম, දෘථි