পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ड5rय । ডিটয়েটে সাধারণের সমক্ষে তাহার শেষ উপস্থিতি বেথেল মন্দিরে । স্বামিজীর জনৈক অনুরাগী ভক্ত, রাবি লুই গ্রোন্সম্যান, তথায় যাজকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন । সে দিন রবিবার, সন্ধ্যাকাল, এবং জনতা এত অধিক হইয়াছিল যে, আমাদের ভয় হুইয়াছিল, বুঝি লোকে বিহবল হইয়া একটা কি করিয়া বসে। রাস্তার উপরেও অনেক দূর পর্য্যন্ত ঠাসা লোক, এবং শত শত ব্যক্তি ফিরিয়া গিয়াছিল। স্বামিজী সেই বৃহৎ শ্রোতৃসজঘকে মন্ত্ৰমুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছিলেন ; র্তাহার বক্ততার বিষয় ছিল-“পাশ্চাত্য জগতের প্রতি ভারতের বাণী” ও “সার্বজনীন ধৰ্ম্মের আদৰ্শ” । তাঁহার বক্তৃতা অতি উৎকৃষ্ট ও পাণ্ডিত্যপুর্ণ হইয়াছিল। শািস রজনীতে আঁচাৰ্য্যদেবকে যেমনটী দেখিয়াছি, তেমনটী আর কখনও তঁহাকে দেখি নাই । তঁহার সৌন্দৰ্য্যের মধ্যে এমন কিছু ছিল, যাহা এ পৃথিবীর নহে। মনে হইতেছিল, যেন আত্মপক্ষী দেহ পিঞ্জীর ভাঙ্গিবার উপক্ৰম করিয়াছে, এবং সেই সময়েই আমি প্ৰথম তাহার আসন্ন দেহাবসানের পুর্বাভাস প্ৰাপ্ত হইয়াছিলাম । বহু বর্ষের অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে তিনি অতিশয় শ্ৰান্ত হইয়া পড়িয়াছিলেন, এবং তিনি যে অধিক দিন এ পৃথিবীতে থাকিবেন না, তাহাঁ” তখনই বুঝিতে পারা গিয়াছিল। আমি “না, না, এ কিছু নহে” বলিয়া মনকে বুঝাইতে চেষ্টা করিলাম, কিন্তু প্ৰাণে প্ৰাণে উহার সত্যভা অনুভব করিলাম। তঁহার বিশ্রামের প্রয়োজন হইয়াছিল, কিন্তু তিনি ভিতর হইতে বুঝিতেছিলেন, তাঁহাকে কাৰ্য্য করিয়াই ঘাইতে হইবে । ইহার পর আমি ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দের জুলাই মাসে। তঁহাৱ-দৰ্শন পাই। -- po 히