পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चांbgद । অতিবাহিত হইয়াছিল। প্রতিদিন প্ৰাতঃকালে গীতাপাঠ ও ব্যাখ্যা, ংস্কৃত কবিতা ও গল্পের আবৃত্তি ও অনুবাদ, এবং সুর করিয়া প্ৰাচীন বৈদিক স্তোত্রপাঠ হইত। সমুদ্রে বীচিবিক্ষোভ ছিল না, এবং রজনীতে চন্দ্রালোক অপূর্ব সুষমা বিস্তার করিত। ঐ কয়দিনের সন্ধ্যাগুলি অতি চমৎকার ছিল ; আচাৰ্য্যদেব ডেকের উপর পায়চারী করিতেন, চন্দ্ৰালোকে তাহার। বপুঃ অতি মহম্ভাবব্যঞ্জক দেখাইত ; মধ্যে মধ্যে পাদচারণা হইতে বিরত হইয়া তিনি আমাদিগের নিকট স্বভাবের শোভা সম্বন্ধে কিছু কিছু বলিতেন এবং বলিয়া উঠিতেন, “দেখ, এই সব মায়ারাজ্যের বস্তুই যদি এত সুন্দর হয়, তবে ভাবিয়া দেখ দেখি, ইহাদের পশ্চাতে যে নিত্যবস্তু রহিয়াইেছন, তঁহার সৌন্দৰ্য্য কত অপরূপ ।” এক বিশেষ রমণীয় রজনীতে যখন পুর্ণচন্দ্রের কনককিরণধারায় জগৎ হাসিতেছিল, সেই অপরূপ মোহকারী রজনীতে তিনি অনেকক্ষণ ধরিয়া নির্বকভাবে দৃশ্যমাধুরী পান করিতেছিলেন। সহসা আমাদিগের দিকে চাহিয়া সমুদ্র ও আকাশের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিলেন, “যখন কবিত্বের চরম সীমা ঐ সম্মুখে রহিয়াছে, তখন আবার কবিতা আবৃত্তির প্রয়োজন কি ?” আমরা যথাসম্বয়ৈ নিউ-ইয়র্ক পৌছিলাম ; গুরুদেবের সহিত এই দশ দিবস এমন পরমানন্দে ঘনিষ্ঠভাবে অতিবাহিত হইয়াছিল যে, মনে হইতেছিল, আমরা আরও বিলম্বে পৌছিলাম না কেন ? ইহার পর তাহার সাক্ষাৎ পাই ১৯০০ খৃষ্টাব্দের ৪ঠা জুলাই তারিখে,--এই সময় তিনি তঁহার বন্ধুবর্গের সহিত কিছুদিন যাপন করিবার জন্য ডিট্রয়েট আগমন করিয়াছিলেন। WG