পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । নিজে নিজে কিছু করতে যেও না । শ্ৰীকৃষ্ণ গীতায় বলছেন,-“ন মে পার্থস্তি কৰ্ত্তব্যং ত্ৰিষু লোকেষু কিঞ্চন ।’-হে অৰ্জ্জুন, ত্ৰিলোকে আমার কৰ্ত্তব্য বলে কিছুই নেই। তার উপর সম্পূর্ণ নির্ভর কর, সম্পূৰ্ণভাবে অনাসক্ত হও, তা হলেই তোমার দ্বারা কিছু কাজ হবে । যে সকল শক্তিতে কাজ হয়, তাদের ত আর আমরা দেখতে পাই না, আমরা কেবল তাদের ফলটা দেখতে পাই মাত্র । অহংকে সরিয়ে দাও, নাশ করে ফেল, ভুলে যাও ; তোমার ভিতর দিয়ে ঈশ্বর কাজ করুন-এ ত তারই কাজ, তিনি বুঝুন। আমাদের আর কিছু করতে হবে না।--কেবল সরে দাড়িয়ে থের্কে তঁকে কাজ করতে দেওয়া । আমরা যত সরে যাব, ততই ঈশ্বর আমাদের ভিতর আসবেন । “কঁচা আমি’টাকে নষ্ট করে ফেল--কেবল “পাকা আমিটাই থেকে যাক । আমরা এখন যা হয়েছি, তা আমাদের চিন্তাগুলোরই ফলস্বরূপ । সুতরাং তোমরা কি চিন্তা কর, সে বিষয়ে বিশেষ লক্ষ্য রেখো । বাক্য ত গৌণ জিনিস। চিন্তাগুলোই বহুকালস্থায়ী, আর তাদের গতিও বহুদূৱব্যাপী। আমরা যে কোন চিন্তা করি, তাতে আমাদের চরিত্রের ছাপ লেগে যায় ; এই হেতু সাধুপুরুষদের ঠাট্টায় বা গালে পৰ্য্যন্ত তাদের হৃদয়ের ভালবাম “ও পবিত্রতার একটুখানি রয়ে যায় এবং তাতে আমাদের কল্যাণ সাধনই করে। কিছুমাত্ৰ কামনা করে না । ঈশ্বরের চিন্তা কর, কিন্তু কোন ফলকামনা করো না । ধারা কামনাশূন্য, তাঁদেরই কাজ ফলপ্রস্থ । ভিক্ষাজীবী সন্ন্যাসীরা লোকের দ্বারে দ্বারে ধৰ্ম্ম বহন করে নিয়ে যান। কিন্তু তাঁরা মনে করেন, আমরা কিছুই করছি না। তাঁরা কোনরূপ J R?