পাতা:দেববাণী - স্বামী বিবেকানন্দ.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেববাণী । এর তাৎপৰ্য্য এই যে, অভিব্যক্তির অর্থই অবনতি ; কারণ, আত্মাকে অভিব্যক্ত করতে গেলে শব্দদ্বারা ঐ অভিব্যক্তি সাধিত হয়, আর ‘শব্দ ভাবকে নষ্ট করে ফেলে”। * তা হলেও তত্ত্ব জড়ােবরণে আবৃত না হয়ে থাকতে পারে না, যদিও আমরা জানি যে, অবশেষে এইরূপ আবরণোত্র দিকে লক্ষ্য রাখতে রাখতে আমরা আসলটাকেই হারিয়ে ফেলি । সকল বড় বড় আচাৰ্য্যই একথা বুঝেন, আর সেইজন্যই অবতারের পুনঃ পুনঃ এসে আমাদের মূল তত্ত্বটা বুঝিয়ে দিয়ে যান, আর সেইকালের উপযোগী তার একটি নূতন আবরণ দিয়ে যান । গুরুমহারাজ বলতেন, ধৰ্ম্ম একমাত্র - সকল অবতারেরাই এই কথাই শিক্ষা দিয়ে গেছেন, তবে স্কুলকেই সেই তত্ত্বটা প্ৰকাশ করতে তাকে কোন না কোন আকার দিতে হয় ; সেইজন্য তঁরা তাকে তার পুরাতন আকারটা হতে উঠিয়ে নিয়ে একটি নূতন আকারে আমাদের সামনে ধরেন। যখন আমরা নামরূপ থেকে, বিশেষতঃ, দেহ থেকে মুক্ত হই, যখন আমাদের ভালমন্দ্ৰ কোন দেহের প্রয়োজন থাকে না, তখনই কেবল আমরা বন্ধন অতিক্ৰম কবৃতে পারি। অনন্তু উন্নতির भक डन४কালের জন্য বন্ধন ; তার চেয়ে সর্বপ্রকার অস্থিতির ধবংসই বাঞ্ছনীয় । আমাদের সকলুপ্রকার দেহ, এমন কি দেবদেহ থেকেও মুক্তিলাভ করতে হবে । ঈশ্বরই একমাত্র যথার্থ সত্যবস্তু, দুটী সত্যবস্তু কখনও থাকতে পারে না । একমাত্র আত্মাই আছেন, এবং আমিই সেই । কেবল মুক্তিলাভের সহায়ক বলেই শুভকৰ্ম্মের যা মূল্য । তার স্বারা কািৰ্জঞ্জাই কল্যাণ হয়, অপর কারও কিছু হয় না । T. "The letter killeth."-stics, ২য় করিস্থিয়ান, w)