পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* স্বীন স্নাগ্রহের স্বরে বক্লে-নয়তো মাকে একবার ঘুমের মধ্যে দুর্লে - উনি এখনও তার উপযুক্ত হন নি। কিছু বুঝতে পারবেন না, হয়তো । ওঁর সূক্ষ্ম শয়ীর অজ্ঞান হয়ে পড়বে সেখানে। সব এক আজগুবি” স্বপ্ন ফলে ভাববেন । বৃথা পরিশ্রম ; চলে যাই,বেলা গেল । 毒 নিকটেই এক ঝোপে তিৎপল্লার হলুদ ফুলে রঞ্জন প্ৰজাপতির ফঁােক উড়তে! দেখে ওরা সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে। পুষ্প বল্লে-কি সুন্দর, না ? শুয়ােপােকা থেকে কেমন চমৎকার স্বভীন জীব তৈরি হয়েচে ঘাখো। শুয়োপােকা মরে যুদ্ধ, গুটি কেটে প্রজাপতি উড়ে বেরোয়। মাটিতে কত আস্তে চলে শুঞ্জোপোকা । --আর কেমন দ্যাথো প্ৰজাপতি নীল আকাশের তলায় ফুলে ফুলে উড়ে । বেড়াচ্চে। শুয়োপোকা কল্পনা করতে পারে মুরবার পক্সে-লে প্রজাপতি হরে ? যতীন হেসে বল্লে-মানুষ কল্পনা করতে পারে মৃত্যুর পর সে বিশ্বের নীল আকাশের তলায় বিদ্যুদগতিতে উড়ে বেড়াতে পারবে ? শুয়োপোকার মন অঙ্ক মুনুষও তেমনি অন্ধ। । প্রদোষালোকে স্নানায়মান ধারণী গতিব বেগে ওদের পাম্বের নিচে কোথায় অস্পষ্ট হয়ে মিলিয়ে গেল। সেই ধরণীর এক প্রান্তে যতীনের দরিদ্রা জননী গাভীয় ঘুমে অচেতন রইলেন, জানতেও পারলেন না পৃষ্ঠার ভাঙা ঘরে এ অদ্ভুত আত্মিস্ক’ আবির্ভাবের বৃহস্য । , সেদিন পুষ্পই প্রথম তীকে দেখলে। সেদিন ওরা বুড়াশিবতলার ঘাষ্টে । ফিরে আসছিল পৃথিবী থেকে-ফেরবার পথে একটন ক্ষুদ্র পাহাড়ের ওপর বসেচে। —হঠাৎ আকাশে বিদ্যুং-লেখার মত উজ্জল জ্যোতি দর্শন করে পুষ্প বয়ে —ম্ভার্থে দ্যাথো-কোন দেবতা আসচেন! যতীনও দেখতে পেলে। একটা । বিশাল উদ্ধা যেন আগুনের অক্ষরে শূন্যের গায়ে তার বাৰ্ত্তা ঘোষণা করচে।--; চক্ষের পলকে সেই পথিক দেবতা কায়া ধারণ করে ওদের সামনে আবিস্তৃত । 'হােলেন । পুষ্প ও যতীন উভয়েই চিনলে-যে দেবতা একবার মহাশূন্তে পথ হারিখে। ওদের কুটির-প্রাঙ্গণে বিভ্রান্ত অবস্থায় এসে পড়েছিলেন, সেই ভ্ৰাম্যমাণ আবিষ্কারক ইিঞ্জ দেবতা বল্পেন-তোমাদের কথা স্মরণ রেখেছি! আবার দেখা করবো । বলেছিলাম, মনে আছে কন্যা ? ? ,...