পাতা:দেবযান - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভীন্ন ব্লকটু অবাক হয়ে গেল! গাণ্ড 'গোসাঁইয়ের যে মেয়ের কথা এ বলছে, তাঁকে নিষ্ঠাৰতী বৈষ্ণবী হিসেবে সে জানতো। তবে সে মুৰঞ্জী এবং হুম্বী ছিল বটে। আশালতা ঘোৰায় বাগের স্বাড়ী চলে গেল, সেই ব্লছিয়সে ? কি-জনি কোন গলায় দড়ি দিয়ে মারা যায়। হরিমতির চরিত্র ভালো ছিল বলেই তার ধারণ স্লাছে এ পৰ্যন্ত। ! যতীন বন্ধে-নী ওসব দেখিনি। তুমি এখন ওসব ছাড়। মরে চলে এসেচ পৃথিবী ছেড়ে। মদ মেয়েমানুষ এখানে কি কাজে লাগবে তোমার ? হরিমতিকে তা হােলে তুমিই নষ্ট করেছিলে, তোমারই জন্যে তাকে গলায় দড়ি | शिव अद्भtड श् ? --না ভাই। তোমার পা ছুয়ে বলতে পারি। সে ভালো চরিত্রের মেয়ে গোড়া থেকেই ছিল না। অঘোর কুণ্ডুর সঙ্গে তার গোলমাল হয় তা আমি জানি। জানাষ্ট্ৰনি পাছে হয় তাতেই সে গলায় দড়ি দিয়ে মারে। আমায় অন্ত খারাপ ভেবাে না। ফুঞ্জিট্ৰষ্টি করতাম বটে, তা বলে* --বেশ, তবে ও পথ একেবারে ছেড়ে দাও, নইলে যেমন কষ্ট পাচ্চ এমনি কষ্ট পাবে }

  • যতীন সেইদিন থেকে প্রায়ই ঝােমলালের স্তরে গিয়ে তাকে বােঝাতাে। স্বামলাল বাড়ীম্বর পায়নি, গাছতলাই তার আশ্রয়স্থান। যতীন তাকে উপরের স্বর্গের কথা বলতে, ভগবানের কথা বলতো-কিন্তু রামলাল নিম্নস্তরের আগুঃ স্কুল আসক্তিতে শুধু মন বাঁধা। সে-সব ও কিছুই বোঝে না, ভালঃ

একদিন রামলালের ঠাকুরদাদা ৬/কেবলরাম কুণ্ডুর সঙ্গে দেখা । কেবলরাম ঘুঘু ব্যবসাদার, সামান্য অবস্থা থেকে বিখ্যাত ধনী ও আড়তদার হয়েছিল। ওকে দেখে বলে-আরে, তুমি ভবতারণের ছেলে! খুব মনে আছে তোমায়। আহা হা, অল্প বয়সে তোমরা সর চলে এলে, বড় দুঃখের কথা। আমার নৃতির দেখো না, ভরসারাম মরে গেলে অত বড় ব্যবসাটা গেল। কে দেখবে ? -- এই তো সন্দে পৰ্য্যন্তু আড়ােত বসে ছিলাম। রোজ গিয়ে দেখি। বড় মায়া ঐ আড়তাঁটার উপর। ভরসারাম তো বাঁধা। আসরে গাইলে। কষ্ট কাকে বলে তা তো স্থানলে না। একলক্ষ আশি হাজার টাকা ক্যাশ রেখে আসি ব্যাক্ষে, উইলে দুভাইকে সমান ভাগে ভাগ করে- 轴 যতীন বয়ে-কুণ্ডু মশাই, এখন ওসব ছেড়ে দিন। আপনি আজ কুড়ি বছর এসেছেন, “আজও দোকান আড়ত নিয়ে আছেন? কেন ? আপনি না গলায় ২. তলসীয় মালা দিতেন ? ধ্বন্বিনাম করতেন ? . *